সুব্রত বক্সী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে দক্ষিণবঙ্গের আসনগুলিতে নিজেদের প্রাধান্য ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। তাই সর্বশক্তি প্রয়োগ করে প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সবার অলক্ষে আরও একজন শীর্ষনেতা নিজের পার্টি অফিসে বসে একের পর এক ফোন করে যাচ্ছেন দলের ‘বসে যাওয়া’ জেলা তথা ব্লকের নেতাদের। কাউকে নির্দেশ নতুবা কাউকে অনুরোধের সুরে দলের হয়ে ভোটের ময়দানে নামতে বলছেন। তিনি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই জেলাভিত্তিক নেতা-কর্মীদের একাংশের ভোটের কাজে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ পেতে থাকেন বক্সী। এর পরেই উদ্যোগী হয়ে ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের পার্টি অফিস থেকে বসে যাওয়া নেতাদের জেলাভিত্তিক তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন সুব্রত। সব নম্বর হাতের কাছে নিয়েই একে একে ফোন করতে শুরু করেন তিনি। বহু ক্ষেত্রে ক্ষোভের পাশাপাশি, জেলা এবং ব্লক স্তরের নেতাদের গলায় ধরা পড়েছে অভিমানের সুর। কোনও ক্ষেত্রে ‘বসে যাওয়া’ নেতাদের থেকে তাঁকে অভিযোগ শুনতে হচ্ছে যে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল তাঁদের যোগ্য সম্মান দেয়নি। কোনও ক্ষেত্রে আবার অভিমানী নেতারা রাজ্য সভাপতিকে ফোনেই জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কাছে ‘ব্রাত্য’ হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এমনই সব অভিযোগ মন দিয়ে শুনেছেন বক্সী। এমনিতেই ‘স্পষ্টবক্তা’ হিসাবে সুখ্যাতি রয়েছে তাঁর। কিন্তু নেতাদের অভিযোগ শুনতে গিয়ে নিজের স্বভাবে খানিকটা বদল এনেছেন সুব্রত। সব কিছু মন দিয়ে শুনে তাঁর নির্দেশ, ‘‘দলের স্বার্থে সব কিছু ভুলে ভোটের কাজে নামতে হবে। দল যাঁকে প্রার্থী করেছে, তাঁকে জেতানোর জন্যই লড়তে হবে। কোনও মনোমালিন্য থাকলে ভোটের পর মেটানো হবে। গত বারের তুলনায় ভোটের মার্জিন বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও অজুহাত বরদাস্ত করা যাবে না।’’
ভবানীপুরে রাজ্য সভাপতির দফতরে নিয়মিত যাতায়াত করা দক্ষিণ কলকাতার এক প্রবীণ তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘দিদি এক সময় মুকুলদা, বক্সীদা এবং পার্থদাকে ভরসা করতেন। কিন্তু একে একে মুকুলদা ও পার্থদা সেই তালিকা থেকে নিজেদের কর্মের কারণেই দূরে সরে গিয়েছেন। বক্সীদা আজও দিদির ভরসার লোক। তাই বসে যাওয়া পুরনো কর্মীদের ময়দানে নামানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন বক্সীদা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে দলের রাজ্য সভাপতি বক্সীদা। কিন্তু তাঁর দলের কাছে কখনও কোনও দাবি নেই। মুখ বুজে কাজ করেন। হতে পারে বক্সীদার আচরণ নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে, তাঁর বিশ্বস্ততার জন্যই দিদি আজও তাঁর উপর ভরসা রাখেন। আসলে বক্সীদা তো তৃণমূলের পুরনো চাল, তাই ভাতে তো বাড়বেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy