মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোট এলেই রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের নাম দেওয়ালে লিখে মানুষের মনজয়ের চেষ্টা করে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের আগে এ বারও সেই কাজে মন দিয়েছে তৃণমূল। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডারকে আলাদা করে চেনানোর লক্ষ্যে প্রচারের আঙ্গিকে বদল এনেছে শাসক দল। কারুকার্য করা বড় বড় মাটির হাঁড়ির মুখে ঢাকনা বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। সেগুলি বসানো হয়েছে লোহার স্ট্যান্ডের উপরে। আবার ভোটারের চোখ টানতে দেওয়ালে-দেওয়ালে আঁকা হয়েছে বিশালাকার লক্ষ্মীর ভান্ডারের ছবি।
কাটোয়া মহকুমার প্রায় সর্বত্রই তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। বিভিন্ন এলাকায় দেওয়ালে আঁকা হয়েছে বিশালাকার লক্ষ্মীর ঝাঁপি। সেগুলির সঙ্গে লেখা হয়েছে মানানসই ছড়া। যেমন একটি দেওয়ালে লেখা হয়েছে, ‘মাসে মাসে নিশ্চিত আয়, লক্ষ্মীর ভান্ডার নারীর সহায়।’
মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী তাঁর কৈচরের কার্যালয়ের প্রবেশপথের দু’পাশে লোহার বড় স্ট্যান্ডের উপরে মাটির তৈরি লক্ষ্মীর ভান্ডার বসিয়েছেন। এই উদ্যোগ কি ভোটের টানে?
বিধায়কের দাবি, “রাজ্যের প্রত্যেক মা ও বোন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সাধারণ মহিলারাই মাটির লক্ষ্মীর ভান্ডার তৈরি করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসিয়ে দিয়েছেন। আমারও দেখে ভাল লাগছে।”
আর এক তৃণমূল নেতা বলেন, এমন লক্ষ্মীর ভান্ডার আরও তৈরি হচ্ছে। সেগুলি নানা জায়গায় বসানো হবে।
বিরোধীদের অবশ্য দাবি, শাসক দল প্রচারে যতই অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করুক না কেন, এ বার কোনও কৌশলই কাজে লাগবে না। কেতুগ্রামের সিপিএম নেতা তমাল মাঝি, কাটোয়া মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি জগদীশ দত্তের তীর্যক মন্তব্য, “মানুষ তৃণমূলের চুরি আর মেনে নিতে পারছে না। তাই লক্ষ্মীর ভান্ডার দেখিয়ে কোনও কাজ হবে না।”
পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি (কাটোয়া সাংগঠনিক) গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের খোঁচা, “ঘরের লক্ষ্মীর উপরে অত্যাচার করে যতই লক্ষ্মীর ভান্ডার দিক না কেন, তাতে কোনও কাজ হবে না। সন্দেশখালির মহিলারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন। রাজ্যের মানুষ ভোটে এর জবাব দেবেন।”
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা, “গত ভোটগুলিতে মানুষ বিরোধীদের যাবতীয় অপপ্রচার ও কুৎসার জবাব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার ছাড়াও প্রচুর কল্যাণকর প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন বাংলার মানুষ। লোকসভা ভোটেও বিরোধীদের মানুষ ছুড়ে ফেলে দেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy