রামনগরে বুধবার তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক। নিজস্ব চিত্র।
তিনি দলের লোকসভা ভোট পরিচালনার দায়িত্বে এবং বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান বটে। কিন্তু বুধবার যে সব এলাকায় দলের লোকসভা ভোটের প্রার্থী দিনভর প্রচার করলেন সেই প্রতিটি কর্মসূচিতেই 'অনুপস্থিত' থাকলেন স্হানীয় তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের এলাকা কাঁথির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তৃণমূলের অখিল গিরি ও উত্তম বারিকের 'দূরত্ব' নিয়ে চর্চা ক্রমশ বাড়ছে।
সোমবার এবং মঙ্গলবার দোল উৎসব উপলক্ষে তেমন প্রচার করেনি দুই দলের প্রার্থীরা। তবে দোল উৎসব কাটতেই বুধবার থেকে জোর কদমে প্রচার শুরু করেন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রার্থী। এ দিন রামনগর ২-নং ব্লকের তালগাছাড়ি ১-নং গ্রাম পঞ্চায়েতের রাও হাই স্কুলের সামনে একটি মন্দিরে পুজো দেন কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক। পরে তিনি নরিহা গ্রামে নির্বাচনী প্রচার চালান। সেখানে তৃণমূল প্রার্থীর হাত ধরে চারটি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয়। এরপর রামনগরের উৎসব ভবনে নির্বাচনী আলোচনা সভা য় অংশ নেন তৃণমূল প্রার্থী। মূলত রামনগর-১ ব্লকের কর্মীদের নিয়ে এই সভা আয়োজন করা হয়।
রামনগর ১-নং ব্লকের বাধিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতেশ্বর শিব মন্দিরেও পুজো দেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযুষ কান্তি পণ্ডা সেখানে ছিলেন। পরে স্থানীয় পাটনা মহাদেব মন্দিরে পুজো দেন। বুধবার সকাল থেকে রামনগর বিধানসভা এলাকায় পাঁচটি জায়গায় প্রচার কর্মসূচি চালিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী। কোথাও উপস্থিত ছিলেন না স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে লোকসভা ভোট পরিচালনার জন্য প্রথমে জেলা পর্যায়ের একটি ১৪ জনের কোর কমিটি তৈরি করা হয়। পাশাপাশি বিধানসভা ভিত্তিক একটি করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তৈরি করা হয়। রামনগর বিধানসভা নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় এলাকার বিধায়ক অখিলকে। কিন্তু, দলের প্রার্থীর লোকসভা ভোটের প্রচারেই তিনি না থাকায় কর্মীদের মধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে জেলা তৃণমূলে অখিল গিরি এবং উত্তম বারিকের শিবিরের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই রয়েছে বলে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি। এ বার লোকসভা ভোটে কাঁথি কেন্দ্র থেকে অখিল প্রার্থী হতে পারেন বলে জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত উত্তমকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ হেন পরিস্থিতিতে উত্তমের প্রচারে অখিলের অনুপস্থিতি ঘিরে বাড়ছে দ্বন্দ্বের জল্পনা। অবশ্য তা মানতে রাজি নন অখিল। তিনি বলছেন," দফতরের বিশেষ কাজে কলকাতায় এসেছি। আগে দলের প্রার্থীর সঙ্গে এলাকায় ঘুরেছি। বাড়ি ফিরে বৃহস্পতিবার থেকে আবার প্রচারের কাজে নামব।"
অখিল যা-ই বলুন না কেন কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন,"এক জনকে তিনটে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে। এতে হয়তো শাসক দলে কারও মনে হতে পারেযে, তাঁদের কাটমানির ভাগ কমে যাচ্ছে। তাই হয়তো দলের প্রার্থীর সঙ্গে থাকছেন না তৃণমূলের বিধায়ক।" বিজেপি-র তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা বলেন,"অখিল কলকাতায় গিয়েছেন। তিনি কর্মসূচিতে থাকতে পারবেন না বলে আগে থেকেই জানিয়েছিলেন।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy