কোন্নগরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধায়ের নামে প্রচারে নেমে দেওয়াল লিখলেন কাঞ্চন মল্লিক। —নিজস্ব চিত্র।
শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখলেন উত্তরপাড়ার তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। শুক্রবার কোন্নগরে কল্যাণের নামে দেওয়াল লিখতে লিখতে কাঞ্চন বললেন, ‘‘কল্যাণদা তো আর সাংসদ নন, তিনি এলাকার অভিভাবক। হ্যাটট্রিক হয়ে গিয়েছে। এ বার বাউন্ডারি মারবেন কল্যাণদা।’’ আবার নতুন বিবাহিত জীবনের কথা উঠতেই সঙ্গে সঙ্গে কাঞ্চনের মন্তব্য, ‘‘আমার ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে এই লোকসভা ভোট অনেক বড় ব্যাপার।’’ কেন হুগলি কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ-অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের থেকে তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এগিয়ে রাখছেন তা-ও জানালেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক।
কোন্নগর এলাকায় কল্যাণের নামে প্রচারে বেরিয়ে কাঞ্চন বলেন, ‘‘এই বারের লোকসভা ভোট গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। বিজেপিকে হারানোর ভোট। আমাদের প্রাপ্য টাকা— ১০০ দিনের কাজের থেকে আবাস যোজনার টাকা বকেয়া রেখেছে ওরা। এ নিয়ে মানুষের বাড়ি-বাড়ি প্রচার করতে হবে আমাদের।’’ কল্যাণকে নিয়ে কাঞ্চনের দাবি, নতুন করে তৃণমূলের সাংসদ-আইনজীবীর পরিচয় দেওয়ার কিছু নেই। তিনি শুধু শ্রীরামপুরের সাংসদ হয়ে নয়, এলাকার অভিভাবক হয়ে গিয়েছেন। কল্যাণের জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আশাবাদী কাঞ্চন বলেন, ‘‘এ বার বাউন্ডারি হাঁকাবেন তিনি।’’
কিছু দিন আগে তৃতীয় বার বিয়ে করেছেন কাঞ্চন। অন্য দিকে, তাঁকে এলাকায় দেখা যায় না বলে বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। এ নিয়ে কাঞ্চনের দাবি, তিনি মানুষের পাশে সব সময় আছেন। বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভায় কয়েকটি অফিস আছে। সেখানে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে বসি। শনিবারও আসি। এখন যদি কেউ বলে যে বিধায়ককে দেখতে পাচ্ছি না, তা হলে তো প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে অফিস খুলতে হবে। সেটা তো সম্ভব নয়।’’ আবার ওই বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের নাকি বিরোধীদের প্রচার পরিকল্পনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কাঞ্চন।
অন্য দিকে, অভিনয় জগতের দুই সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি পৃথক দলের প্রার্থী লোকসভা ভোটে। কাঞ্চন জানিয়ে দেন, হুগলিতে এগিয়ে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা। কাঞ্চনের কথায়, ‘‘লকেটকে বোধ হয় গত পাঁচ বছরে খুব কম দেখা গিয়েছে এলাকায়। সে কথা মানুষও জানেন। আর রচনা টিভিতে যে কাজ করেন, তাতে মানুষের পাশে এবং কাছে তিনি অনেক বেশি যেতে পারবেন বলে আমি মনে করি। উনি (রচনা) জিতবেন বলে আমি মনে করি।’’ তাঁর বিবাহিত জীবন নিয়ে যে ‘বিতর্ক’ তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন বলেন, ‘‘আমি এসেছি প্রচারে। আর ওটা আমার ব্যাক্তিগত জীবন। আমার ব্যাক্তিগত জীবনের থেকে সামনে অনেক বড় লোকসভা ভোট রয়েছে। সেটা নিয়ে সবার ভাবা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy