অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
আজ, বুধবার বসিরহাট স্টেডিয়ামে জনসভা করতে আসছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় অন্য বিধানসভা কেন্দ্রের থেকেও সন্দেশখালি যে বাড়তি গুরুত্ব পাবে, তা এর মধ্যেই পরিষ্কার। কিন্তু সেই সন্দেশখালিতেই উন্মাদনায় ভাটা তৃণমূল শিবিরে। তৃণমূল নেতাদের একাংশের দাবি, শেখ শাহজাহান ও দলে তাঁর অনুগামী অধিকাংশ নেতাই এখন সিবিআইয়ের জালে বা জেল হেফাজতে। ফলে লোক জড়ো করবে কে? টাকার জোগানই বা আসবে কোথা থেকে?
যদিও সন্দেশখালির বিধায়ক তৃণমূলের সুকুমার মাহাতোর দাবি, ‘‘আমি আর্থিক ভাবে খুব সমৃদ্ধ নই। তবুও যতটা পারছি, খরচ করছি। চাঁদা তোলা হচ্ছে। অন্তত ১০ হাজার লোককে তো নিয়ে যেতে হবে।’’
বসিরহাটে স্টেডিয়ামের মাঠ ও সংলগ্ন অঞ্চল ফ্লেক্স, হোর্ডিং ও মাইকে ছয়লাপ। কিন্তু শহর পরিক্রমা করে অভিষেকের সভার প্রচার হয়নি মঙ্গলবারও। এ দিন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী এবং পুলিশ আধিকারিকেরা রাত পর্যন্ত সভাস্থলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। সুজিত বলেন, ‘‘বসিরহাট তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। সন্দেশখালিতে এত কাণ্ড করেও বিরোধীরা কিছু করতে পারেনি, তা প্রমাণ হবে এই সভায়।’’
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাদের দাবি, ৪০টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। আরও ১০০টি ছোট গাড়ি থাকবে। বাসন্তী হাইওয়ে বাস মালিক সমন্বয় কমিটির সম্পাদক রাজেশ হরি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘অভিষেকের সভার জন্য এখনও কোনও বাস চাওয়া হয়নি আমাদের কাছে।’’ বিধায়ক সন্দেশখালি থেকে ১০ হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও দলীয় সূত্রে খবর, সন্দেশখালির বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে গড়ে ৩০০-৩৫০ জনকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে অভিষেকের সভায়। অর্থাৎ সন্দেশখালি বিধানসভা থেকে সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ-ছ’হাজার মানুষ যেতে পারেন।
দলেরই একাংশ জানাচ্ছে, এর থেকেই স্পষ্ট, লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালিতে দল কতটা অগোছাল। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব এখনও নির্দিষ্ট কোনও রূপরেখা তৈরি করতে পারেননি বলেই সূত্রের খবর। সবাই তাই অপেক্ষা করে আছে, অভিষেক কী বলেন শোনার জন্য। সন্দেশখালি বিধানসভার জন্য তৃণমূলের নির্বাচন কমিটিও তৈরি হয়নি এখনও। সন্দেশখালি ২ ব্লকের মণিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের প্রসেনজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিটি তৈরি হলে প্রচার পর্ব চালাতে ও ভোট কৌশল ঠিক করতে সুবিধা হয়। অভিষেকের সভার পরে নির্বাচন কমিটি তৈরি হবে নিশ্চয়।’’
সন্দেশখালির বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ বলেন, ‘‘তৃণমূলের সভায় এখন সন্দেশখালি থেকে লোক নিয়ে যেতে নাভিশ্বাস উঠছে। অভিষেক যে বার্তাই দিন, কাজ হবে না।’’ সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দার বলেন, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই। সবাই ভোট দিতে পারলে ফলাফলই সে কথা বলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy