আউশগ্রামে তৃণমূলের বৈঠকে মহিলারা। ছবি: প্রদীপ মুখোপাধ্যায়।
নির্বাচনের বাকি এখনও দেড় মাস। এই মুহূর্তে পথে নেমে গা ঘামানোর থেকে দলীয় কার্যালয়ে ঘরোয়া বৈঠকে বেশি জোর দিচ্ছে তৃণমূল। সে সব সভায় ডাকা হচ্ছে বিধভা ভাতা এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তাদের। চা-বিস্কুট খাইয়ে, অভাব-অভিযোগ শোনার পরে, তাঁদের তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। গুভাতা প্রাপকদের ভোট যাতে ঘাসফুলের বাক্সে পড়ে, তা নিশ্চিত করতে গোটা আউশগ্রাম বিধানসভা জুড়েই এই প্রচার চলবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
গুসকরা শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়ে স্থানীয় মহিলা ভোটারদের পর্যায়ক্রমে ডেকে ঘরোয়া সান্ধ্য-বৈঠক শুরু করেছে তৃণমূল। বৈঠকে থাকছেন স্থানীয় পুর-প্রতিনিধি শিপ্রা চৌধুরী ও ওয়ার্ডের অন্য তৃণমূল নেতারা। সেখানে বিরোধীদের অপপ্রচারে পা না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ওয়ার্ডের মোট ভোটদাতার সংখ্যা কম-বেশি ১৫০০। প্রতিদিন এক একটি পাড়ার ৪০-৪৫ জন মহিলাকে তৃণমূলের ওয়ার্ড কার্যালয়ে আসার জন্য বাড়ি গিয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন দলের মহিলা কর্মীরা। মূলত যে সমস্ত মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার ও বিধবা ভাতা পাচ্ছেন, তাঁদেরই ডাকা হচ্ছে।
এমনই এক বৈঠকে গিয়েছিলেন মাঝপুকুর পাড় এলাকার নমিতা মাল, মনা মেটে, শোভা মাল, শ্রাবণী মেটেরা। তাঁরা বলেন, “পার্টি অফিসে ডেকে আমরা লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাই কিনা জানতে চান তৃণমূলের নেতারা। আমাদের সুবিধা অসুবিধার কথাও জানতে চান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করেছেন, সে কথা মনে করিয়ে দেন তৃণমূলের নেতারা। আমাদের বলা হয়েছে, আগামী দিনে ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হবে। সব শেষে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।”
গুসকরা শহর তৃণমূল সভাপতি দেবব্রত শ্যাম বলেন, “আপাতত ৩ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে এই প্রচার শুরু হয়েছে। পরে সব ওয়ার্ডেই হবে।” আর এক তৃণমূল নেতা মলয় চৌধুরী বলেন, “মহিলারা ঘরে বা বাইরে কাজে ব্যস্ত থাকেন সারাদিন। তাই সন্ধ্যায় তাঁদের ডাকা হচ্ছে। তৃণমূল সরকার তাঁদের জন্য কোন প্রকল্পে কী সুবিধা দিচ্ছে, তা তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের মনের মধ্যে ঢুকতে পারলে ভোট পেতে অসুবিধা হবে না।” বিরোধী দলের সমর্থকদেরও বৈঠকে ডাকা হচ্ছে বলে জানান মলয়। কারও ভাতা পেতে সমস্যা হলে, তা জেনে নেওয়া হচ্ছে।
আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে সব উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, সেগুলি জানাতে গোটা বিধানসভা এলাকা জুড়েই ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যমে প্রচার করা হবে।” কিছুদিন আগে গুসকরায় দলের কর্মিসভায় বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল প্রতিটি ওয়ার্ডে দলকে জেতানোর জন্য পুর-প্রতিনিধিদের বিশেষ দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy