উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভোটপ্রচারে দেব। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি আসনে জয়ী হবে তৃণমূল— দু’দিন ধরে ভোটপ্রচারের পর এই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব (দীপক অধিকারী)। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ থেকে তাঁর ঘাটাল লোকসভা নিয়েও মন্তব্য করলেন দু’বারের সাংসদ।
দু’দিন ধরে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের প্রচারে ছিলেন দেব। সোমবার আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে জমিয়ে প্রচার করেছেন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি লোকসভার নৌকাঘাট থেকে অগ্রণী সঙ্ঘ মোড় পর্যন্ত যখন রোড শো করেন দেব, তখন নায়ক-সাংসদকে দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। জনতার মধ্যে বেশিরভাগই নবীন মুখ। লোকসভা ভোটের প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে আবদার মেটালেন ভক্তদের। কারও সঙ্গে নিজস্বী তুললেন। অনেককে অটোগ্রাফ দিলেন। বিকেলে শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে বাগডোগরা আসেন দেব। বিমান ধরে কলকাতা যাবেন। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, প্রচারের অভিজ্ঞতা খুব ভাল। ঘাটাল লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী তথা তারকা প্রচারকের কথায়, ‘‘আমি ভাল সাড়া পেয়েছি। দু’দিনে চারটে রোড শো করেছি। আমরা আশাবাদী যে, পাহাড় থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি সিট জিতব।’’
দলের নেতা-কর্মী থেকে সমর্থকদের প্রশংসা করে দেব বলেন, ‘‘সকলে মিলে প্রচুর পরিশ্রম করছেন। আর আমার নিজের কেন্দ্র ঘাটালের লোকসভা কেন্দ্র সেখানে মানুষ জানেন, দেব কতটা সৎ ভাবে কাজ করেছে এবং আগামিদিনে কী করতে চলেছে। মানুষের উপর পুরো বিশ্বাস আছে, আমি জিতবই।’’
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়ী হয় বিজেপি। উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সাতটিই বিজেপির দখলে যায়। শুধুমাত্র মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে জয়ী হয় কংগ্রেস। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে কিছুটা জমি শক্ত করতে পারে তৃণমূল। তার পরেও কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে ভাল ফল করেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে অবশ্য উত্তরবঙ্গে তুলনামূলক ভাল ফল করেছে ঘাসফুল শিবির। তাই তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই আলাদা করে নজর দিয়েছে উত্তরবঙ্গে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সামনেই রয়েছে অমিত শাহের সফর। তবে মানুষের ভিড় দেখে তৃণমূল সাংসদ দেব এ বার উত্তরবঙ্গ নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘‘ভোটে জেতার পর অনেক কাজ করার আছে। কাজের তো শেষ নেই। আসলে রাজনীতি এমন একটা সাবজেক্ট (বিষয়) যেখানে সাধারণ মানুষের কিছু না কিছু সমস্যা থাকে। সেই সমস্যার সমাধান করাই একজন জনপ্রতিনিধির কাজ। সেই জনপ্রতিনিধি জিতুন বা হেরে যান, পদে থাকুন বা না থাকুন, তাঁকে মানুষের সেবা করতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy