ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগে মাকে প্রণাম তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের। শুক্রবার ধূপগুড়িতে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
পাউরুটির উপরে কয়েক টুকরো চেরি, সঙ্গে কলা। এ দিয়ে প্রাতঃরাশ করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। তার পরে কখনও বিজেপি বুথ অফিসে ঢুকেছেন তিনি, কখনও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভোটের সকাল থেকে দুপুর পার করে শেষপর্যন্ত স্বভাবসিদ্ধ শান্ত মেজাজেই ছিলেন নির্মলচন্দ্র। ধূপগুড়ি থেকে বেরিয়ে একে একে সব ক’টি বিধানসভা ঘুরে নির্মলচন্দ্র জলপাইগুড়িতে আসেন। পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠকও করেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী নির্মলচন্দ্র যখন নিজের ভোটটা দিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ধূপগুড়িতে ছবি তোলাচ্ছেন, সে সময়ে কয়েকটা বুথ ঘুরে পার্টি অফিসে ফিরে একের পর এক অভিযোগ করে চলেছেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত রায়। অভিযোগ করছেন, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে দলের অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল জেলা সভানেত্রী
মহুয়া গোপ নিজের বুথে চাল বিলি করেছেন, রানিনগরে বুথ অফিসের সামনে তৃণমূল পতাকা লাগিয়েছে, বিভিন্ন বুথে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতারা ভোট প্রভাবিত
করছেন— এমনটাই।
কী দিয়ে প্রাতঃরাশ সারলেন প্রার্থী? বিদায়ী সাংসদের আপ্তসহায়ক ভীম রায় বললেন, “উনি সকালে কিছুই খেয়ে বেরোননি।” বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি, অভিযোগের বন্যায় ‘ঠান্ডা মাথার লোক’ বলে পরিচিত সাংসদ এ দিন সকালে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন। দুপুরের পরে, ময়নাগুড়ির একটি হোটেলে খেতে বসেছিলেন। অল্প ভাত-ডাল সঙ্গে ঘি নিয়ে খেয়েই তিনি উঠে পড়েন। সন্ধের পরে ভোট শতাংশ জানতে পেরে শান্ত হন জয়ন্ত। পার্টি অফিসে এসে দার্জিলিং পাতা দিয়ে তৈরি চা খেতে চান।
সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ ঘুরেছেন সীমান্ত এলাকাতেও। এক সময়ে ‘বাম দুর্গ’ বলে পরিচিত ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে অনেকটাই সময় ছিলেন দেবরাজ। সকালে ছাতুর শরবত খেয়ে বেরিয়ে নিজের ভোট দিয়েছেন। বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলিতেও ঘুরে কর্মীদের সঙ্গে ভোট দেখেছেন। ভাঙামালি এলাকায় দলের অস্থায়ী শিবিরে অনেক কর্মীকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন। দেবরাজ দুপুরের খাওয়া সারেন কর্মীদের সঙ্গেই। পাতে ছিল ভাত, ডাল, স্যালাড। সঙ্গে দেশি মুরগির ঝোল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy