—প্রতীকী চিত্র।
আগামী রবিবার তৃণমূলের মেগা ব্রিগেড সমাবেশ। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে ব্রিগেড সমাবেশ মারফত নেতৃত্বের বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেই সমাবেশে উত্তরবঙ্গের নেতা-কর্মীদের শামিল করতে বেশকিছু উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কাছে আবেদন করেছিল তৃণমূল। সোমবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগের সুরে দাবি করা হয়েছে, ষড়যন্ত্র করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেছে। এ ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে দেওয়া একটি জবাবকে সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছে তারা। পাশাপাশি, তাদের আবেদনপত্রের কপিও তুলে ধরা হয়েছে।
২৯ ফেব্রয়ারি সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফে আইআরসিটিসিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে জোড়া ট্রেনের জন্য আবেদন করা হয়। প্রথম ট্রেনটি ৮ মার্চ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত চাওয়া হয়। যে ট্রেনটি ৯ মার্চ কর্মীদের নিয়ে কলকাতায় পৌঁছবে। ১০ তারিখের সমাবেশ শেষে ১১ তারিখ আবারও নেতা-কর্মীরা শিয়ালদহ থেকে আলিপুরদুয়ার ফিরে যাবেন। একই ভাবে ৮ মার্চ নিউ কোচবিহার স্টেশন থেকে আরও একটি ট্রেন শিয়ালদহের জন্য চাওয়া হয়। প্রথম ট্রেনটির মতোই ১১ মার্চ শিয়ালদহ থেকে নিউ কোচবিহার স্টেশনের উদ্দেশে যাবে। কিন্তু সোমবার আইআরসিটিসি ও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, জোড়া ট্রেন দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
রেল কর্তৃপক্ষের এমন চিঠি পাওয়ার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন লিখেছেন, ‘‘বিজেপির এই ধরনের তুচ্ছ প্রয়াসকে উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ মানুষ ১০ মার্চ জনগর্জন সভায় উপস্থিত হবে।’’ আবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, অপারেশনাল সমস্যার কথা জানিয়ে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ট্রেনটি বাতিল করা হয়েছে।’’ সেখানে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘বিজেপি আগেও এমন উদ্যোগ আমাদের কর্মীদের দিল্লি যাত্রার ক্ষেত্রেও অন্তরায় তৈরি করতে পারেনি। এ বারও ঐতিহাসিক সমাবেশে কর্মীদের উপস্থিতি আটকাতে পারবেন না।’’
উল্লেখ্য, গত বছর ২-৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি অভিযান করেছিল তৃণমূল। সে বারও ভারতীয় রেলের কাছে কর্মীদের দিল্লি যাতায়াতের জন্য একটি ট্রেনের আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে সেই আবেদনের জবাবে জানিয়ে দেয়, যে ট্রেন দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কলকাতা থেকে বাসে করে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বারও যে কর্মীদের উত্তরবঙ্গ থেকে ব্রিগেড সমাবেশে আনতে বিকল্প ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হবে তৃণমূল, তাও কটাক্ষ করে বিজেপিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy