প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
দেশে ৩৭০টি আসন পেতে হলে রাজস্থানে এ বারও বিজেপির গত দু’টি লোকসভা ভোটের মতো পঁচিশে পঁচিশ চাই। কিন্তু রাজস্থানে ১৯ এপ্রিলে প্রথম দফার নির্বাচনে বিশেষ ভোট পড়েনি। তাই ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার আগে বিজেপি-আরএসএস ক্যাডারদের চাঙ্গা করতে নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানের মাটি থেকে মেরুকরণের কৌশল নিয়েছেন বলে কংগ্রেসের মত।
রবিবার রাজস্থানের বাঁসওয়াড়া থেকে প্রথম নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ তুলেছিলেন, কংগ্রেস দেশের সম্পত্তি মুসলমানদের মধ্যে বিলি করে দিতে চায়। সোমবার আলিগড়ে এবং মঙ্গলবার ফের রাজস্থানের টঙ্ক-সওয়াই মাধোপুর থেকে একই অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, রাজস্থানে প্রথম দফায় ১২টি আসনে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশেরও কম। দ্বিতীয় দফায় বাকি ১৩টি আসনে ভোট। বিজেপি নেতারা মনে করছেন, মরুরাজ্যে শুধু মোদী ঝড়ে সব আসন জেতা মুশকিল। জালোর, দৌসা, ঢোলপুর, টঙ্ক, সিকর, চুরু, ঝুনঝুনু, নাগৌর, বাঁসওয়াড়ায় কঠিন লড়াই।
বিজেপি নেতারা বুঝতে পারছেন, জাঠদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কারণ, রাজস্থানের নতুন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, দুই উপমুখ্যমন্ত্রীর কেউই জাঠ নন। ক্ষোভ কমাতে বিজেপিকে বলতে হচ্ছে, জাঠ সমাজের জগদীপ ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি করা হয়েছে। যদিও ফিরতি আশ্বাস বিজেপি পায়নি। এ দিকে, উত্তর ভারত থেকে আসন সংখ্যা কমলে বিপদ। কারণ, দক্ষিণে বিজেপির আসন সংখ্যাবৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এই কারণে মোদী মরিয়া হয়ে মেরুকরণের জন্য রাজস্থানকে বেছে নিয়েছেন। কংগ্রেস যখন জাঠেদের সঙ্গে গুজ্জর, দলিতদেরও পাশে চাইছে, মোদী তার মোকাবিলা হিন্দু বনাম মুসলমানের লড়াই দিয়ে করতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy