—প্রতীকী ছবি।
খাতায়-কলমে অস্তিত্ব আছে। কিন্তু, বাস্তবে নেই।
ভোটের কাজে গাড়ি ধরতে গিয়ে নিজেদের পোর্টালেই এমন ভূতুড়ে গাড়ির অস্তিত্ব দেখে হতবাক রাজ্য পরিবহণ দফতরের কর্তারা।
এ বারের লোকসভা নির্বাচন মিটলেই ওই ভূতুড়ে গাড়ি ধরতে তাঁরা উঠে পড়ে নামবেন বলে দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন। ভোটের আগে ওই ভূতুড়ে গাড়ির হিসাব-নিকেশ যে তাঁদের এ ভাবে পদে পদে বিপাকে ফেলবে, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি আধিকারিকরা।
নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে, সম্ভাব্য এমন গাড়ির তালিকা তৈরি করতে গিয়েই এই বিপদ ঘনিয়েছে। অভিযোগ, গাড়ি নথিভুক্তকরণের সরকারি যে পোর্টাল, সেখানে গাড়ির অস্তিত্ব দিব্যি জ্বলজ্বল করলেও দেখা যাচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে অজস্র গাড়ির পথকর জমা পড়ছে না। গাড়ির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র সংগ্রহের আবেদনও কেউ করে না। যোগাযোগের জন্য দেওয়া ফোন নম্বরও খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে তা ভুয়ো। এমন ভূতুড়ে গাড়ির সংখ্যা রাজ্যে কয়েক লক্ষের বেশি বলে জানাচ্ছেন পরিবহণ দফতরের কর্তাদের একাংশ।
বিভিন্ন আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের পুরনো তালিকা থেকে বাহন পোর্টালে তথ্য তোলার সময় বহু ক্ষেত্রেই ওই সব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। একাধিক গাড়ি হাত বদলের পরে তার অস্তিত্ব দুই বা তার বেশি রাজ্যের নথিতেও মিলছে বলে খবর। ওই সমস্যার কারণেই দফতরের নিজস্ব হিসেব-নিকেশে ভুলভ্রান্তি ঘটছে বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি সরকারি পোর্টালে নানাবিধ কর বকেয়া রয়েছে এমন লক্ষাধিক গাড়ির সংখ্যা দেখে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা কর আদায়ের আশা ছিল আধিকারিকদের। বকেয়া কর মেটানোর জন্য বিশেষ ছাড়ের সুবিধার কথাও জানানো হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রত্যাশিত মাত্রার ১০ ভাগের এক ভাগেরও কম, মাত্র ১৬৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে সরকারের।
পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে, যে সব গাড়ির কর জমা পড়ছে না, তাদের ক্ষেত্রে নথিভুক্তরণের নথিতে কী ধরনের গোলমাল রয়েছে তা খতিয়ে দেখে ভুয়ো গাড়ি বাতিল করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy