জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
ক্রমশ বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ (ক্রিটিকাল) বুথের সংখ্যা। আগামী ১৩ মে, রাজ্যে চতুর্থ দফার লোকসভা ভোটে প্রায় ২৩.৫% এবং ২০ মে, পঞ্চম দফায় ৫৭.১৯% বুথই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট-বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, প্রথম তিন দফায় বড়় ধরনের গোলমাল হয়নি। কিন্তু চতুর্থ দফায় ঝুঁকিপূর্ণ বুথের হিসাব যা বলছে তাতে অশান্তিহীন ভোট করানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আসল পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে।
আগামী সোমবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ভোট হবে। আসনের নিরিখে বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান-পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর এবং বীরভূম, এই আসনগুলিতেই নিজেদের জনপ্রতিনিধি বাছবেন নাগরিকেরা। এর মধ্যে বহু আসনেই বিভিন্ন দলের ওজনদার প্রার্থীরা আছেন। কমিশনের হিসাবে, চতুর্থ দফায় ভোট বুথের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০৭টি। তার মধ্যে ৩৬৪৭টি বুথই ঝুঁকিপূর্ণ। ২০ মে, পঞ্চম দফায় বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি এবং আরামবাগ ভোট হবে। কমিশনের হিসাবে, ওই আসনগুলির মোট বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৮১টি। তার মধ্যে ৭৭১১টি বুথই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ বুথের নিরিখে সবার শীর্ষে আছে হুগলি (৮৭%)। তার পরেই আছে হুগলির আর এক কেন্দ্র আরামবাগ (৮৫%)। তৃতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে (৬৭%) এবং শ্রীরামপুর (৫৯.৫৩%)।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইো) দফতর সূত্রের খবর, মোট আসন, বুথ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সমানুপাতিক হারে বাড়বে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সংখ্যাও। চতুর্থ দফায় মোট ৫৯৬ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। তার মধ্যে ব্যবহার হবে ৫৭৮ কোম্পানি বাহিনী। পাশাপাশি, ৩৩ হাজার ৪৭১ জন রাজ্য পুলিশের কর্মীকেও মোতায়েন করা হবে। পঞ্চম দফায় মোট ৭৬২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তার মধ্যে ৬১৩ কোম্পানি বাহিনী ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy