সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। —ফাইল চিত্র।
প্রায় বছরখানেক থেকেই ঘন ঘন মুর্শিদাবাদের পা রাখছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ছোটখাটো ঘটনাকে কেন্দ্র করেও এই জেলায় ছুটে আসছেন তিনি। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁর কনভয়। আর এরই মাঝে লোকসভা ভোট এবং জোট নিয়ে গুঞ্জন উঠে গিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে। কোথাও আবার সিপিএম আগাম দেওয়ার লিখে বসে আছে প্রার্থীর নাম বাদ দিয়ে।
যদি জোট হয় এবং তার পরে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র যদি তাঁদের ঝুলিতে যায় তা হলে প্রার্থী কে হবেন? সিপিএমের অন্দরমহলের বক্তব্য, জোট হলে প্রবল সম্ভাবনা আছে মহম্মদ সেলিমের। এমনকি প্রাথমিক ভাবে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনাও হয়ে গিয়েছে বিষয়টি নিয়ে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। জঙ্গিপুর এবং বহরমপুর কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়ে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র পেতে চাইছে সিপিএম, এমনটাই গুঞ্জন এখন রাজনৈতিক মহলে।
যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলছেন, ‘‘আমরাও বাজারে এই রকম গুঞ্জন শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু আমাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই। আদতে আমাদের জেলার দায়িত্বে আছেন রামচন্দ্র ডোম। তিনি পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারছেন না। ফলে সেলিমকে বারবার ছুটে আসতে হচ্ছে এই জেলায়। আর তাতেই হয়তো লোকজন মনে করছেন সেলিম এখানকার প্রার্থী। আদতে দলীয় ভাবে কোনও রকম সিদ্ধান্ত এখনও কিছুই হয়নি।’’
যদিও সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, 'যা রটে তা কিছু না কিছু বটে'। বামেদের রাজ্য সম্পাদকের দীর্ঘ দিন থেকেই মুর্শিদাবাদের আনাগোনা বেড়েছে। খুব ছোটখাট ঘটনাতেও তিনি এই জেলায় ছুটে আসছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন সমাবেশ থেকে কর্মিসভা প্রায় করছেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র এলাকায়। আদতে জোট নিয়ে এখনও দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা না হওয়ার কারণেই বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছে না।
ডোমকল মহাকুমা কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহমান বলছেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও খবর আসেনি। তবে দলের পক্ষ থেকে যদি জোট ধর্ম মেনে সেলিমকে এখানে প্রার্থী করা হয় তা হলে আমরা দলের কর্মী হিসেবে দলের নির্দেশ মেনেই চলবো।’’ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি সেলিমপ্রার্থী হলে বাড়তি সুবিধা থাকবে। প্রথমত তিনি হেভিওয়েট প্রার্থী, তাছাড়া আইএসএফ কিছুটা হলেও সংগঠন তৈরি করেছে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে। কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীদের কাছেও বামেদের অন্য নেতার থেকে সেলিমের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেশি। যদিও বৃহস্পতিবার ডোমকল এসে সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থী ঠিক করেন পলিটব্যুরোর সদস্যরা। ফলে কে প্রার্থী হবে সেটা ঠিক করবেন তাঁরাই। এখনই এই রকমের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy