রায়বরেলীতে সনিয়া গান্ধী (ডান দিকে)। পাশে রাহুল গান্ধী (মাঝে) এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (বাঁ দিকে)। ছবি: পিটিআই।
ছেলেকে সমর্পণ করে যাচ্ছেন। ছেলে তাঁদের হতাশ করবেন না। রায়বরেলীতে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানালেন সনিয়া গান্ধী। এই কেন্দ্রের চার বারের সাংসদ সনিয়া চলতি বছরের শুরুতে আসনটি ছেড়ে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। এ বার এই কেন্দ্রে প্রার্থী রাহুল। তাঁর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন মা সনিয়া। নিজের পূর্বতন কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী জানালেন, তাঁর ছেলে রায়বরেলীবাসীকে ‘নিরাশ’ করবেন না।
গান্ধী পরিবারের ‘দুর্গ’ বলে পরিচিত এই রায়বরেলী। সেখানে শুক্রবার প্রচারে গিয়ে সনিয়া বলেন, ‘‘আপনাদের কাছে নিজের ছেলেকে সঁপে দিয়ে গেলাম। আপনারা যেমন আমাকে নিজের ভেবেছেন, তেমনই ওঁকেও ভাববেন। এই রাহুল আপনাদের নিরাশ করবে না।’’ ২০০৪ সালে প্রথম বার রায়বরেলী থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন সনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এই রায়বরেলী থেকে অনেক শিক্ষা পেয়েছেন তিনি। সেই শিক্ষাই দিয়েছেন ছেলেকে। তাঁর কথায়, ‘‘ইন্দিরা গান্ধী এবং রায়বরেলী আমায় যে শিক্ষা দিয়েছে, আমি রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কাকে সেই শিক্ষাই দিয়েছি। সকলকে সম্মান, দুর্বলদের রক্ষা, মানুষের অধিকারের জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই। ভয় পাবেন না, আপনাদের ঐতিহ্য এবং লড়াইয়ের শিকড় অনেক গভীরে।’’ সনিয়া এ-ও জানিয়েছেন, বহু দিন পর রায়বরেলীতে ফিরে তিনি খুব খুশি। সেখানকার মানুষজনের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ বলেও জানিয়েছেন।
শুক্রবার ৭৭ বছরের সনিয়ার পাশে ছিলেন প্রার্থী রাহুল এবং মেয়ে প্রিয়ঙ্কা। হিন্দিতে রাহুল রায়বরেলীবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘রায়বরেলী আমার পরিবার। অমেঠীও আমার বাড়ি। এই জায়গাগুলির সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। একই সঙ্গে গত ১০০ বছর ধরে এখানকার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আমার পরিবারের শিকড়। মা গঙ্গার মতোই পবিত্র এই সম্পর্ক, যা অওয়ধ এবং রায়বরেলীর কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে শুরু হয়েছে।’’ এই রায়বরেলীতে প্রার্থী হয়েছেন ইন্দিরা এবং রাহুলের দাদু ফিরোজ গান্ধী। ২০ মে, পঞ্চম দফায় ভোট রয়েছে এই রায়বরেলী এবং অমেঠীতে। অমেঠীতে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে গিয়েছিলেন রাহুল। জয়ী হয়েছিলেন কেরলের ওয়েনাড় থেকে। এ বার ওয়েনাড়ের পাশাপাশি মায়ের ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলীতে প্রার্থী তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy