সুভাষ সরকার। — ফাইল চিত্র।
‘গোঁজ’-কাঁটায় বিদ্ধ বাঁকুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। একদা দলে ‘সুভাষ-বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত নেতা-কর্মীদের একাংশ নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন। ঘটনা নিয়ে সরগরম জেলার রাজনৈতিক শিবির। চর্চা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেও।
রবিবার বাঁকুড়ার ছাতনায় এক সভা থেকে লোকসভা ভোটে লড়ার কথা জানান এক সময়ে বিজেপিতে থাকা কিছু নেতা-কর্মী। সেখানে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বিজেপির প্রাক্তন জেলা নেতা জীবন চক্রবর্তীকে। জীবনের দাবি, “নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমাকে বিজেপির বহু কার্যকর্তা চাইছেন। ভোটে দাঁড়ালে সুভাষের থেকে একটি ভোট হলেও বেশি পাব। উনি (সুভাষ) দলের কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাই নির্দল হিসেবে ভোটে লড়তে চলেছি।” তাঁর সংযোজন, “দল যদি এখনও সুভাষের বদলে অন্য কাউকে প্রার্থী করে, ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসব।”
প্রকাশ্যে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের দাবি, দলের সঙ্গে যাঁদের যোগ নেই, তাঁদের নিয়ে ভাবছেন না। সুভাষও বলেন, “ভোট এলে অনেকের লড়ার ইচ্ছে হয়। নির্দল প্রার্থী হয়ে কেউ চাইলে দাঁড়াতেই পারেন। তবে এই ভোট দেশের ভোট। দেশের সমস্ত মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদীজিকেই চাইছেন। তাই মোদীজির পক্ষেই ভোট হবে। ব্যবধান গত বারের চেয়েও বাড়বে। কে নির্দলে দাঁড়াল, কিছু যায় আসে না।”
বাঁকুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর তবে কটাক্ষ, “সুভাষবাবুকে নিয়ে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ অসন্তুষ্ট। এ বার ওঁদের দলের লোকজনও ক্ষোভ জানাচ্ছেন। এর পরে আর কোন মুখে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবেন ওই বিজেপি প্রার্থী!” পাল্টা সুভাষ বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতি, অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। উন্নয়নের জন্য মানুষ একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরেই আস্থাশীল। প্রকৃত বিজেপি কর্মীরা এক হয়ে লড়াই করছেন। আমাদের জয় নিশ্চিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy