(বাঁ দিক থেকে) রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং সনিয়া গান্ধী। ছবি সংগৃহীত।
এ বারের লোকসভা ভোটের ফলাফল এখনও পুরোপুরি বার হয়নি। তবে যা প্রবণতা তাতে স্পষ্ট তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়ার পথে এনডিএ। তবে এ-ও পরিষ্কার যে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বিজেপি। এই ফলকে ‘মোদীর নৈতিক হার’ বলে কটাক্ষ করল কংগ্রেস। পাশাপাশি হাত শিবিরের বক্তব্য, ‘‘দেশের মানুষ মোদীর বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছেন।’’
মঙ্গলবার বিকেলে কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধীরা। সেই সাংবাদিক বৈঠকে একাধারে ‘বিজেপি এবং মোদী-শাহ’কে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। খড়্গে বলেন, ‘‘ভোটের এই ফল বিজেপির নৈতিক হার। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কংগ্রেস লড়াই করেছিল। এই লড়াই শেষ হয়নি। আগামী দিনেও আমরা সংসদে এই নিয়ে আওয়াজ তুলব। মানুষ এ বার কোনও দলকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়নি।’’
মঙ্গলবার খড়্গের সুরেই রাহুল মোদী-শাহ এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মোদী-শাহ দেশের এজেন্সি, অর্ধেক বিচার ব্যবস্থাকে কব্জা করে রেখেছে। আমাদের লড়াই ছিল তার বিরুদ্ধে। সংবিধান বাঁচানোর লড়াইয়ে এটাই প্রথম পদক্ষেপ।’’ বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ দলের অন্যতম শরিক কংগ্রেস। সেই জোটের প্রত্যেকটি দলকে ধন্যবাদ জানান রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের জোটসঙ্গীদের সম্মান করি।’’
রাহুল আরও বলেন, ‘‘ভারতের মানুষ স্পষ্ট জবাব দিয়ে দিয়েছে মোদী-শাহকে সরকারে চায় না তারা। এই ফল বড় বার্তা দিল মোদীকে।’’ একই সঙ্গে আলাদা করে উত্তরপ্রদেশের মানুষকে ধন্যবাদ দিয়েছেন রাহুল। তবে ভবিষ্যতে ‘ইন্ডিয়া’ কি সরকার গড়বে? বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পরেই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকি, কংগ্রেসের পুরনো ‘বন্ধু’ চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ কী করবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। যদি এই দুই দল এনডিএ ছেড়ে চলে আসে তবে মোদীর সরকার গড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। সেই নিয়ে রাহুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ইন্ডিয়া বৈঠকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী কাল আমরা বৈঠকে বসছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy