জোরকদমে চলছে প্রশাসনিক প্রস্তুতি। — নিজস্ব চিত্র।
হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগামী ২০ মে হাওড়া লোকসভায় নির্বাচন। ভোট বৈতরণী পেরোতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল, বিজেপি-সহ সবক’টি রাজনৈতিক দলই। বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১২ মে সাকরাইলে বিড়লা মাঠে মোদীর সভা। একই দিনে, বালিতে জনসভা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবার আমতায় সভা রয়েছে মমতারও। আর শনিবার জগৎবল্লভপুরে জনসভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, গ্রামীন হাওড়ার পাঁচলায় সভা অভিষেকের।
শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি, তৃণমূল। বিজেপির হয়ে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, অন্য দিকে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর আহ্বান জানাবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা, দলের সেনাপতি অভিষেক। সবক’টি সভাকে কেন্দ্র করেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মোদী, মমতা এবং অভিষেক— তিন সভাতেই প্রধান বক্তারা উড়ে আসবেন হেলিকপ্টারে। পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। তার ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। তৈরি হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। দলীয় নেতা, কর্মী ও পুলিশ আধিকারিকেরা সভাস্থল পরিদর্শন করছেন দফায় দফায়। প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে গিয়েছে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে উৎসাহিত বিজেপি নেতা কর্মীরা। হাওড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমার সৌভাগ্য যে, প্রধানমন্ত্রী নিজে আমার হয়ে প্রচার করতে হাওড়ায় আসছেন। এখানকার মানুষের জন্য ইতিমধ্যেই মেট্রো উপহার দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আগামিদিনে আরও কিছু কাজের জন্য তাঁর কাছে আবেদন থাকবে।’’ প্রত্যাশিত ভাবেই মোদীর সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লি থেকে অনেকেই ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ করেছেন। তাতে কিছুই লাভ হয়নি। অরূপ নিশ্চিত, ‘‘এ বারও হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy