জাতীয় নির্বাচন কমিশন। — ফাইল চিত্র।
দুই নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগে আগামিকাল বৈঠকে বসতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। ওই বৈঠকের আগে কমিটির সদস্য, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী আইন মন্ত্রকের কাছে চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা নির্বাচন কমিশনার পদপ্রার্থীদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য (ডসিয়া) চাইলেও, সূত্রের মতে, রাত পর্যন্ত তিনি তা হাতে পাননি।
আগামিকাল বেলা বারোটায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নির্বাচন কমিশনারের শূন্য দু’টি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠক হতে চলেছে। গত মাসে নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে। তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠক প্রথমে হওয়ার কথা ছিল ১৫ মার্চ। কিন্তু গত শনিবার দ্বিতীয় নির্বাচন কমিশনার অরুণ গয়াল হঠাৎই ইস্তফা দেন। তারপরেই দুই নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ এক সঙ্গে করার সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। বৈঠকের দিনও এক দিন এগিয়ে আনা হয়।
মুখ্য নির্বাচন কমিশানর ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রশ্নে যে নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছে, তা মেনে যাতে আগামিকালের বৈঠকে নিয়োগ না হয়, তার জন্য গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর। পুরনো নিয়মে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রধান বিচারপতি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু নতুন আইনে কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা থাকলেও প্রধান বিচারপতির স্থান নিয়েছেন এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যাঁকে বেছে নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও স্বজনপোষণের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন জয়া। আজ বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে বিষয়টি উঠলে তিনি জানান, শুনানি আগামী শুক্রবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে হবে। কিন্তু আগামিকাল যদি বৈঠকে কমিশনারদের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়ে যায়, তা হলে ওই শুনানির প্রয়োজন আদৌ হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘‘শুক্রবার ওই সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। আশা করছি, সরকার তার আগে নিয়োগ সেরে ফেলবে না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy