প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রচারে আবার বাংলায় আসছেন নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার রাজ্যে পর পর তাঁর তিনটি সভা রয়েছে। মোদী প্রচার করবেন চতুর্থ দফার ভোটের জন্য। বর্ধমান-দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর এবং বোলপুর কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি কলকাতায় চলে আসছেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা মোদীর। বিমানবন্দর থেকে রাত ৯টা ১০ নাগাদ তিনি রাজভবনে পৌঁছবেন। সেখানেই রাত কাটাবেন। এর পর শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে রওনা দেবেন বর্ধমানের উদ্দেশে।
মোদীর সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি রাজভবন থেকে বেরিয়ে গাড়ি করে পৌঁছবেন রেস কোর্সের হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে উড়ে যাবেন বর্ধমানের উদ্দেশে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাঁই কমপ্লেক্সে তাঁর সভার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে মোদীর সভা হওয়ার কথা। বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এবং বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অসীমকুমার সরকারের সমর্থনে প্রচার করবেন তিনি। দুই প্রার্থীরই সভায় উপস্থিত থাকার কথা।
বর্ধমানের সভা শেষ করে সেখান থেকে আবার হেলিকপ্টারে মোদী উড়ে যাবেন কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে। বেলা পৌনে ১টা থেকে সেখানে তাঁর সভা হওয়ার কথা। সভার আয়োজন করা হয়েছে শ্যামনগর ফুটবল মাঠে। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের সদস্য অমৃতা রায় এবং রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে প্রচার করবেন মোদী। দুই প্রার্থী সভায় থাকবেন বলে খবর। বৃহস্পতিবারই সেখান থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরত্বে তেহট্টের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ স্টেডিয়ামে জনসভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষ্ণনগরের সভা শেষ করে মোদীর যাওয়ার কথা বোলপুরে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে আমোদপুরের মেলার মাঠে তাঁর সভা রয়েছে। মঞ্চে থাকবেন বোলপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা এবং বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। ৩টে ১০ মিনিটের মধ্যে এই সভা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। বাংলায় প্রচার শেষ করে মোদী এর পর উড়ে যাবেন ঝাড়খণ্ডে। সিংভূমে আরও একটি সভা করবেন তিনি। অর্থাৎ, এক দিনে মোট চারটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
মোদীর রাজ্য সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকালে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১১টা এবং শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভারী যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বেঁধে দেওয়া সময় ছাড়াও প্রয়োজনে আরও কিছু ক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে খবর কলকাতা পুলিশ সূত্রে। কয়েকটি রাস্তায় নিয়ন্ত্রিত হবে পার্কিংও। বন্ধ থাকবে ট্রাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy