লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন। রবিবার সিঙ্গুরের তৃণমূলনেত্রী প্রতিমা দাস তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে। বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে পদ্মশিবিরের পতাকা তুলে নিয়ে প্রতিমা তৃণমূলকে ‘উৎখাত’ করার ডাক দিলেন। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই যোগদানের ফলে তাদের দলে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
রবিবার সিঙ্গুরে পশ্চিম বারুইপাড়া এলাকায় বিজেপির তরফে আয়োজিত ‘যোগদান মেলায়’ হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী লকেট যোগদানকারীদের হাতে পদ্ম আঁকা পতাকা তুলে দেন। তৃণমূল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগদান করেন সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির দুই বারের প্রাক্তন সভাপতি প্রতিমা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বারুইপাড়া পলতাগড় এলাকার তৃণমূল কর্মী প্রদীপ দাস, শুকদেব দাস, রূপশ্রী পাত্র-সহ আরও অনেকে। ওই যোগদান পর্বের আগে পশ্চিম বারুইপাড়া এলাকার কালীমন্দিরে পুজো দেন লকেট। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় ২০০ জন মানুষ যাঁরা তৃণমূল এবং সিপিএমে ছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর কাজে উদ্ধুদ্ধ হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বিশেষ করে মহিলাদের যোগদান উল্লেখযোগ্য। এই যোগদানের ফল বিজেপি আরও শক্তিশালী হবে।’’
তৃণমূলত্যাগী প্রতিমার কথায়, ‘‘তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যে অত্যাচার, বগটুইয়ের মতো গণহত্যা সেই সব ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্যই আমি বিজেপিতে যোগদান করেছি। তৃণমূল থেকেও আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কিন্তু সেই লড়াইয়ে একা পড়ে গিয়েছিলাম। তাই বিজেপিতে যোগদান করলাম।’’
প্রতিমা সিঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা ‘মাস্টারমশাই’ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী ছিলেন। মাস্টারমশাই এবং বিধায়ক বেচারাম মান্নার বিবাদ এক সময় চরমে ওঠে। বেচারাম এখন সিঙ্গুরের বিধায়ক এবং রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী। অন্য দিকে, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল থেকে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে বিজেপিতে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ। সিঙ্গুর থেকে বিজেপি তাঁকে প্রার্থীও করেছিল। তবে ভোটে পরাজয়ের পর রবীন্দ্রনাথকে আর রাজনীতির আঙিনায় সে ভাবে দেখা যায়নি। প্রতিমা সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন বার সদস্য হন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সমিতির সভাপতি এবং ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সহকারী সভাপতি ছিলেন। তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল।
যদিও প্রতিমাদের দলত্যাগে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন সিঙ্গুর তৃণমূল নেতৃত্ব। সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষ বলেন, ‘‘প্রতিমা দাস আগে সভাপতি থাকলেও এখন দলে তাঁর সক্রিয়তা ছিল না। তাই দল গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থীও করেনি। বাকি যাঁদের কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা আমাদের দলের কেউ নন। তাই তাঁদের যোগদানে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy