প্রচারে বেরিয়ে কর্মীদের মারামারির মধ্যে পড়লেন প্রার্থী কীর্তি। — নিজস্ব চিত্র।
কীর্তি আজাদের মিছিল চলাকালীন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। গোলমালের জেরে মাঝপথেই থমকে গেল মিছিল। প্রার্থী কীর্তিকে আশ্রয় নিতে হল মন্দিরে। ঘটনায় চাপা উত্তেজনা দুর্গাপুরের আমরাইতে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
দুর্গাপুরের আমরাইয়ের উত্তরণ এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি নির্বাচনী প্রচার সারছিলেন। বাজছিল ঢাক, ঢোল, কাঁসরঘণ্টা। উলুধ্বনি এবং শঙ্খধ্বনির মধ্যে দিয়ে সামনে হাঁটছিলেন কীর্তি। দু’পাশে ভিড় করে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। মিছিল চলাকালীন আচমকা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দুই নেতা শেখ আমিনুর রহমান ও শেখ শাহাবুদ্দিনের গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বেধে যায়। বচসা থেকে হাতাহাতি। সেই গোলমালের মাঝে পড়ে যান ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য কীর্তি। কর্মীরা তাঁকে দ্রুত একটি মন্দিরে নিয়ে চলে যান। বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পুলিশকে। কীর্তিকে দেখা যায়, মন্দিরের চাতালে বসে ঘণ্টার তালে তালে হাততালি দিতে। পরে পার্টি অফিসে ফিরে কীর্তি অবশ্য দাবি করেন, কোনও গোলমালের ঘটনাই ঘটেনি। কে আগে দিদির প্রার্থীকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাবেন, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে উন্মাদনা বলেই তাকে অভিহিত করেন কীর্তি। তিনি বলেন, ‘‘কোথাও কোনও গোলমাল হয়নি। আসলে সবাই নিজের মতো করে আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে চান। এখানে লড়াই, ঝগড়া, ঝঞ্ঝাটের কোনও ব্যাপারই নেই, আছে শুধু অতি উৎসাহ আর প্রেম। দিদির জন্য মনে যে সম্মান আছে কর্মীদের, তা-ই দেখলাম অবাক হয়ে।’’
ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তারও জবাব দিয়েছেন কীর্তি। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বরং নিজের দল নিয়ে ভাবুক। বাংলার কথা বিজেপি কোনও দিন ভাবেনি। তাই এক জনও পূর্ণমন্ত্রী পায়নি বাংলা। ভদ্রলোকের রাজ্য বাংলায় এ বার বিজেপির দোকান বন্ধ হবে। দিলীপ ঘোষকে কয়েক লক্ষ ভোটে হারাব। বিজেপি যেন নিজের চরকায় তেল দেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy