পানাগড়ে পদযাত্রা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছবি: বিপ্লব ভট্টাচার্য।
তাঁকে দেখার জন্য বিকেল ৩টে থেকেই আশপাশের এলাকা থেকে আসা লোকজন ভিড় জমাচ্ছিলেন রাস্তার ধারে। হাতে ছিল তৃণমূলের পতাকা, বেলুন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় দেখা যেতেই উল্লাসে মাতল জনতা। রবিবার বিকেলে পানাগড় বাজার এলাকায় রোড-শো করলেন মমতা। এ দিন বর্ধমানে পদযাত্রা সেরে হেলিকপ্টারে পানাগড় রেল উড়ালপুলের পাশে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামেন তিনি। সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটা গাড়িতে আসেন। পানাগড় গুরুদ্বারের কাছে গাড়ি থেকে নেমে প্রায় দেড় কিলোমিটার পদযাত্রা করেন তিনি।
মমতার কর্মসূচি নিয়ে সকাল থেকেই সাজ সাজ রব ছিল পানাগড়ে। বিকেল থেকে বাসে কাঁকসা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা আসতে শুরু করেন। বনকাটি থেকে এসেছিলেন প্রতিমা মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘দলনেত্রী আমাদের এলাকায় আসছে। তাঁকে কাছ থেকে দেখব বলে এসেছি।’’ পুরনো জাতীয় সড়ক ধরে মমতার গাড়ি এগিয়ে আসতেই জনতার মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। প্রথমে গাড়ির ভিতর থেকেই রাস্তার দু’দিকে মানুষজনের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন মমতা। তার পরে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন তিনি। মিনিট কুড়ি পুরনো জাতীয় সড়ক ধরে পদযাত্রা করেন। অনেকে তাঁর কাছে গিয়ে প্রণাম করার চেষ্টা করেন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের আটকে দেন।
অমিয় পাত্র নামে এক যুবক প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করতে গেলে রক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে দেন। পরে মমতা নিজে তাঁকে ডেকে পাঠান। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ওই যুবককে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যান। পরে অমিয় বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করার। তা আজ পূর্ণ হল।’’ শুধু ওই যুবক নন, রাস্তার পাশে থাকা অনেককেই কাছে ডেকে নেন তৃণমূল নেত্রী। রোড-শো শেষে গাড়িতে উঠে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দেন তিনি।
এ দিন ভিড় দেখে খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি নবকুমার সামন্তের দাবি, ‘‘মানুষের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ ছিল। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানুষ প্রিয় নেত্রীকে দেখতে এসেছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy