—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP
চা বলয়ে সভা করে চা নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে পাল্টা নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী থেকে তৃণমূল নেতারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, মোদী বলার পরেও কেন বন্ধ বাগান খোলেনি? রবিবার মোদী দাবি করলেন, তৃণমূল সরকারের জন্যই চা বাগান বন্ধ হয়েছে। ধূপগুড়ির ময়নাতলির মাঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘বঙ্গের চায়ের সমস্যা আর দেশের কাছে গোপন নেই এবং দেশের
মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বাংলার চা বাগান।”
দিনকয়েক আগে কোচবিহারে সভা করে চা নিয়ে একটি মাত্র মন্তব্য করেছিলেন মোদী। তাতে তৃণমূলের প্রতি কোনও আক্রমণ ছিল না, শুধু দাবি ছিল, বিজেপি চা এবং চা শ্রমিকদের কল্যাণ করে। গত শুক্রবারই জলপাইগুড়িতে সভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালে বন্ধ বাগান খোলার মোদী-আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চান, “কোথায় গেল মোদী গ্যারান্টি।” তার এক দিন পরে চা বলয়ে সভা করে মোদী বললেন, “তৃণমূলের ছোট থেকে ছোট নেতারাও বড় বড় বাংলোয় থাকেন। কিন্তু চা বাগানের পরিবারগুলি মূল সুবিধাটুকুও পায় না।” ধূপগুড়ির সভায় মোদী বলেন, “তৃণমূল সরকার চা বাগানকে, চা শিল্পকে অভিভাবকহীন করে দিয়েছে। খারাপ পরিস্থিতির জন্য বেশ কিছু বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ চা শিল্পের এই পরিস্থিতির জন্য চা বলয়কে ভোটে জবাব দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সে কারণে (চা শিল্পের দুরবস্থার জন্য) এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া খুবই জরুরি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে তৃণমূলের জমানত জব্দ
করতে হবে।“
এ দিনের সভায় মোদী বলেছেন, “আগে দুর্নীতিতে এসসি পরিবারকে ভুগতে হত বেশি। বিনামূল্যে রেশন এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগের উপভোক্তাদের মধ্যে এসসি-এসটি পরিবার বেশি। প্রথমবার বেশিরভাগ এসসি-এসএটি পরিবার পাকা ঘর পেয়েছে। প্রথমবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানীয় জল পেয়েছে। বিজেপি আদিবাসী মন্ত্রকের বরাদ্দ কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। আদিবাসী পরিবারকে ২৩ লাখেরও বেশি পাট্টা দিয়েছি। চারশোরও বেশি নতুন একলব্য মডেল স্কুল বানিয়েছি।’’
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী প্রকাশ চিকবরাইক বলেন, “নিজের পদের (প্রধানমন্ত্রীর) মর্যাদার খাতিরে অন্তত বাংলার চা বাগান নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার কী কী করছে, সে বিষয়ে কিছু তথ্যও নিজের সঙ্গে রাখুন। মাথায় রাখবেন, তৃণমূল আমলেই এ রাজ্যের চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে, শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্পে ঘর দিয়েছে, জমির পাট্টা দিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করছে। আর প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই কখনও চা বাগান অধিগ্রহণের কথা বলে, তো কখনও আবার শ্রমিকদের অন্য কোনও আশ্বাস দিয়ে আপনি শুধু মিথ্যাচার করে এসেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy