মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে দেখা গেল ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরাকে। নিজস্ব চিত্র।
তাঁকে দেখা যায়নি ভাতারের সভায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন অসুস্থ ছিলেন তিনি। যদিও দলের একাংশের দাবি ছিল, দ্বন্দ্বের কারণেই তিনি যাননি সভায়। বুধবার অবশ্য বুদবুদের সভা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে দেখা গেল ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরাকে। ‘বনমালীদা’কে দেখতে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই বলেন, “উনি আমাদের দলের সিনিয়র নেতা।” তাঁর শরীরের খোঁজও নেন তিনি। তবে রাজনীতিতে ‘নিষ্ক্রিয়’ বনমালীকে ‘সক্রিয়’ হওয়ার কোনও বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি দেননি।
মঙ্গলবার ভাতারের এরুয়ারের সভায় বনমালীকে দেখতে না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী জেলা নেতৃত্বের কাছে তাঁর খোঁজ নেন। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বনমালীদা এই এলাকায় ছিলেন। এখনও আছেন। শরীরটা হয়তো একটু খারাপ। অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। কাল দেখা হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর ডাককে উপেক্ষা করতে পারেননি বনমালী। ৮০ বছরের প্রবীণ নেতা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে ফিরে এসে বলেন, “তৃণমূল গঠনের পরে জেলায় আমি প্রথম ব্যক্তি যে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেছিলাম। তিনি প্রকাশ্যে আমাকে যেতে বলছেন, আর আমি যাব না!’’
এ দিন তিনি একজনকে সঙ্গে নিয়ে ভাতার থেকে বুদবুদের উদ্দেশে রওনা দেন। মাঝপথে জেলার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে যায়। সূত্রের খবর, গাড়ি থেকে বনমালীকে প্রণাম করেন স্বপন। তারপরে হাত ধরে টেনে নিজের গাড়িতে বনমালীকে তুলে নিয়ে বুদবুদের দিকে রওনা দেন। বিধায়ক (ভাতার) মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছিলেন, উনি অসুস্থ থাকায় ভাতারের সভায় আসতে পারেননি। সে জন্য বুদবুদের সভায় গিয়েছিলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy