শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল ও ঘাটালের প্রার্থী হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় মিছিল করে চলেছেন মনোনয়ন জমা দিতে। শুক্রবার দুপুরে মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র somesh24abp@gmail.com
মনোনয়ন উপলক্ষে মিছিল। আর সেই মিছিলের ভিড়েই জয় দেখছে বিজেপি। মেদিনীপুরের দলীয় প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কথায়, ‘‘আজকের এই মিছিলে যে ভাবে মানুষের সাড়া পেলাম, তাতে মনে হল, ফলাফল ঘোষিতই হয়ে গিয়েছে। ৪ তারিখের (জুনের) জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। যেন বিজয় মিছিল হল।’’ ঘাটালের পদ্ম প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও একই সুরে বলেন, ‘‘এই জয় ঘাটালের বঞ্চিত, নিপীড়িত, অবহেলিত, লাঞ্চিত মানুষের জয়। দশ বছরের সাংসদ (দেব) মানুষকে মিথ্যা কথা বলেছেন, ঠকিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদের জয়।’’
শুক্রবার মেদিনীপুরে এসে দলের দুই প্রার্থীর মনোনয়নের মিছিলে শামিল হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল চলাকালীন শুভেন্দুর বার্তা, ‘‘১৫ হাজার লোক হাঁটছে মিছিলে। ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, প্রবল দাবদাহ। মানুষ আছেন, মিছিলে গরিব মানুষই বেশি আছেন।’’ তাঁরও দাবি, ‘‘দু’জনই (অগ্নিমিত্রা এবং হিরণ) জিতবেন। গোটা বাংলা জুড়েই মোদী হাওয়া। মেদিনীপুরে তো ঘূর্ণিঝড়। অবিভক্ত মেদিনীপুরের পাঁচটা আসনই আমরা মোদীজিকে দেবো। জঙ্গলমহলের ন’টা আসনই নরেন্দ্র মোদী পাবেন। কোথাও মার্জিন এক লক্ষের কম হবে না।’’
এ দিন বর্ণাঢ্য এই মিছিল শুরু হয়েছিল অরবিন্দনগরের মাঠের সামনে থেকে। শেষ হয় কালেক্টরেট মোড়ের সামনে। সকালে কয়েকটি মন্দিরে গিয়ে অগ্নিমিত্রা পুজো দিয়েছেন। পরে মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘আজ নমিনেশন দিলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির আশীর্বাদ নিয়ে। আমার সমস্ত কার্যকর্তা, নেতৃত্বের আশীর্বাদ নিয়ে।’’ সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন বলেও জানিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। বলেছেন, ‘‘দিলীপদার আশীর্বাদ আমার সঙ্গে আছে। দিলীপদা ১৩ মে- র পরে এসে আমার সঙ্গে প্রচার করবেন। দিলীপদা কথা দিয়েছেন।’’
অন্য দিকে, হিরণ মনোনয়নের আগে দলের ‘শহিদ’ পরিবারের আশীর্বাদ নিয়েছেন। কেশপুর থেকে এসেছিলেন শ্রাবণী ধাড়া। বিজেপির দাবি, শ্রাবণীর স্বামী সুশীল ধাড়াকে খুন করেছে তৃণমূলের লোকেরা। হিরণও বলেন, ‘‘আমার এই বোনের স্বামীকে তৃণমূলের লোকেরা খুন করেছিল। আমার বোন এসেছে আমাকে আশীর্বাদ করতে। আমরা জয়ী হওয়ার পরে ওঁর স্বামীর আত্মা শান্তি পাবে।’’ সকালে ট্রেনে খড়্গপুর থেকে মেদিনীপুরে আসেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। পরে স্টেশনের সামনে থেকে টোটোয় যান মিছিল শুরুর স্থলে। দেবকে বিঁধে হিরণের দাবি, ‘‘ঘাটালের সাংসদ এতদিন ধরে বলেছিলেন কে এনামুল হক, চেনেন না। কিছু দিন আগে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি টাকা নিয়েছি। ফেরতও দিয়ে দিয়েছি।’ ২০১৪ সালে ওঁর ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল। ২০১৯-এ হয়ে গেল ১৫ কোটি। আর ২০২৪-এ ৩৮ কোটি টাকা। একজন অভিনেতা- প্রযোজকের রাজনৈতিক দলে যোগদান করার পরে প্রথম পাঁচ বছরে একশো শতাংশ, তার পরের পাঁচ বছরে দেড়শো শতাংশ সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। ভাবুন! আমি রামের দলে আছি, আর উনি রাবণের দলে আছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy