সেই লিফলেট। নন্দীগ্রামের খোদামাবাড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পরে তাঁর হাত ধরে দলবদল করেছেন তৃণমূলের অনেকেই। সেই থেকে বিজেপিতে শুরু আদি-নব্যের লড়াই। সেই লড়াইয়ের জেরেই এ বার লোকসভা ভোটের আগে তোলাবাজির অভিযোগে লিফলেট বিলি হল শুভেন্দুর নিজের বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামে। নব্য বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও তোলাবাজির অভিযোগ তুলে ওই লিফলেট ছড়ানো হয়েছে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের খোদামবাড়ি এলাকায়। বিজেপির অবশ্য দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তৃণমূলই এ কাজ করেছে। তৃণমূল পাল্টা বলছে, চোর মুক্ত পঞ্চায়েত করবে, দাবি করেছিল বিজেপি। মানুষ দেখছে ভোট দিয়ে ডাকাতকে নিয়ে এসেছে।
তমলুক লোকসভার মধ্যে পড়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভা। শুক্রবার হলদিয়ায় প্রচারে এসেছিলেন বিজেপির তমলুকের প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রচারে গরহাজির ছিলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি-সহ আদি বিজেপি কর্মীদের একাংশ। তার পর শনিবার সকালে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ভীম বাজার, রেয়াপাড়া-সহ একাধিক এলাকায় আদি বিজেপি-র তরফে ছড়ানো লিফলেট মানুষের নজরে আসে।
সেই লিফলেটে দাবি করা হয়েছে, তেরপেখ্যা-রেয়াপাড়া সড়ক সংলগ্ন মনোহরপুরে দেবকুমার দাস একটি বাড়ি তৈরি করছেন। বেশ কিছুটা সরকারি জায়গায় নাকি তিনি বাড়ি তুলছেন। আর এই বেআইনি কাজে অনুমতি দেওয়ার জন্য বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অনিলকুমার সাউ, নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বিজেপির বিকাশ ভারতী এক লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে লিফলেটে।
লিফলেটে আরও দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে বিজেপি পরিচালনার দায়িত্ব যাদের হাতে রয়েছে, তারা তোলাবাজ ও ঘুষখোর। ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। লিফলেটের শেষে লেখা, আদি বিজেপি কর্মীরা।
লিফলেটে অভিযুক্ত নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বিকাশ ভারতী অবশ্য বলেন, ‘‘মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে জিতিয়েছে। এলাকার দাপুটে নেতা মহাদেব বাগকে হারিয়েছি। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূল কিছু করতে না পেরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই লিফলেট ছড়িয়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমাদের দলে আদি বা নব্য এ রকম কোনও ব্যাপার নেই।’’ তৃণমূল বিঁধতে ছাড়ছে না। নন্দীগ্রাম ২ ব্লক ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুনীলবরণ জানা বলেন, ‘‘বিজেপি নিজের ঘরের দ্বন্দ্ব মেটাতে পারছে না। উল্টে তৃণমূলের উপর দায় চাপাচ্ছে।’’ বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পালের পাল্টা খোঁচা, ‘‘ভোটের পরে তৃণমূল দলটাই থাকবে না নন্দীগ্রামে। সেটা বুঝতে পেরে লিফলেট দিয়ে প্রচারে থাকতে চাইছে ওরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy