—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের কাজে আগেই বাহিনীর দুই কোম্পানিকে পাঠাতে হয়েছিল ভিন্ রাজ্যে। এ বার জেলার ভোট সামলাতে তিন হাজার পুলিশকর্মীকে সেখানে পাঠাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতায় ভোট গ্রহণের প্রায় তিন সপ্তাহ আগে এত সংখ্যক পুলিশকর্মীকে জেলায় পাঠিয়ে দেওয়ায় শহরে পুলিশের কাজকর্ম কী ভাবে চলবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফার ভোট গ্রহণের আগে ঝাড়খণ্ডে গিয়েছিল বাহিনীর দুই কোম্পানি পুলিশ। অর্থাৎ, প্রায় ২০০ জন পুলিশকর্মী। এ বার চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণের আগে আরও তিন হাজার পুলিশকর্মীকে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। ইতিমধ্যেই যার তোড়জোড় শুরু হয়েছে লালবাজারে। বাহিনীর ওই পুলিশকর্মীরা কবে আবার ভোট সামলে শহরে ফিরবেন, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না পুলিশকর্তারা। আপাতত ভাবা হয়েছে, ওই তিন হাজার পুলিশকর্মীর অধিকাংশকেই পাঠানো হবে ব্যাটালিয়ন থেকে। তবে, থানা বা ট্র্যাফিক গার্ডে যে হাত পড়বে না, তা-ও এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না লালবাজার।
চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ আগামী ১৩ মে। বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল এবং বীরভূমের দু’টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। ওই সমস্ত জেলাতেই কলকাতা পুলিশের এই বাহিনীকে পাঠানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চম দফায়, অর্থাৎ ২০ মে রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। সেখানেও এই বাহিনীকে কাজে লাগানো হতে পারে বলে খবর। কলকাতা শহরে ভোট গ্রহণের বাকি রয়েছে আর মাত্র তিন সপ্তাহ। এই সময়ে এমনিতেই রাস্তাঘাটে বাড়তি নজরদারি চালাতে হয় পুলিশকে। পুলিশকর্মীর ঘাটতি তৈরি হলে সেই নজরদারি কী ভাবে চলবে, আপাতত তা নিয়েই চিন্তা দেখা দিয়েছে।
এ দিকে, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই শহরে রাজনৈতিক ঝামেলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী দলের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শহরে ভোট গ্রহণের দিন যত এগিয়ে আসছে, এই ধরনের ঘটনার সংখ্যাও বাড়ার আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল। কলকাতা পুলিশে এমনিতেই কর্মী-সঙ্কট রয়েছে। তার মধ্যে ভাঙড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা কলকাতা পুলিশের অধীনে আসায় চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। নতুন একটি ডিভিশন তৈরি করে ওই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা সামলাচ্ছে লালবাজার। শহরের বিভিন্ন থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের পাশাপাশি লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ থেকেও পুলিশকর্মীদের ভাঙড়ে পাঠানো হয়েছে। এ বার সেই কর্মী-সঙ্কটের মধ্যেই ভোটের কাজে জেলায় এত জন পুলিশকর্মী চলে যাওয়ায় শহরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল।
লালবাজারের পুলিশকর্তারা যদিও দাবি করেছেন, শহরকে নিরাপদ রাখতে পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে। থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডেও যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশকর্মী থাকছেন বলে জানানো হয়েছে। এক কর্তার কথায়, ‘‘থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকছে। ডিভিশনগুলির হাতেও বাহিনী রাখা হচ্ছে। শহরে নিরাপত্তার যেমন বন্দোবস্ত ছিল, তেমনই থাকছে। ভোট হোক বা না হোক, শহরের নিরাপত্তা কোনও ভাবেই বিঘ্নিত হতে দেব না আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy