Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

খুঁজছেন বাড়ি, লড়াইয়ের প্রস্তুতি কীর্তির

দুর্গাপুরের কয়েকটি গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন কীর্তি আজাদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন চক্রবর্তী।

কীর্তি আজাদ।

কীর্তি আজাদ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪৪
Share: Save:

নাম ঘোষণার পরে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্ধমান শহর ঘুরেও গিয়েছেন তিনি। এ বার এলাকায় আরও সময় দিতে বর্ধমান শহরে বাস করার ইচ্ছা জানিয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, সব কিছু ঠিক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই শহরে অস্থায়ী আস্তানা গড়ে লোকসভা ভোট পরিচালনা করবেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার। অন্য দিকে, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ স্টেশনের এলাকার বাড়ি থেকেই ভোটের কাজে নামবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার দমদম থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে মেমারি আসেন শর্মিলা। সেখান থেকে সোজা সন্ধ্যায় কাটোয়ার দলীয় কার্যালয়ে যান। তিনি জানান, আপাতত কোনও বাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন না। অগ্রদ্বীপ স্টেশন এলাকার বাড়ি থেকেই ভোটের কাজ করবেন। তাঁর কথায়, “নিজের বাড়ি থাকতে ভোটের জন্য ভাড়া বাড়ি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ওখান থেকেই প্রচারের কাজ করব।”

এ দিন দুর্গাপুরের কয়েকটি গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন কীর্তি আজাদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “প্রার্থীকে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরছি। প্রার্থী বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাসের বাড়ি, কাঞ্চননগর এলাকায় থাকবেন। আমরা দুর্গাপুরে ডিএসপিতে একটি বাংলোয় নির্বাচনী কার্যালয় করব বলে ঠিক করেছি।” বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে দুর্গাপুর পশ্চিম বিজেপির দখলে রয়েছে। গত লোকসভা ভোটে দুর্গাপুরের দু’টি আসন থেকেই তৃণমূল ৭৬,১০২ ভোটে হেরেছিল। আর গলসি বিধানসভা থেকে হেরেছিল ৯৬২১ ভোটে। যার জেরে লোকসভা আসনটি অল্প ব্যবধানে হারাতে হয়েছিল তৃণমূলকে। এ বার হারানো আসন পুনরুদ্ধারে জাতীয় ‘মুখ’, তিনবারের সাংসদ কীর্তি আজাদকে এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে।

তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দুর্গাপুরের দু’টি আসনের উপরে লোকসভা ভোটের জয়-পরাজয় অনেকটাই নির্ভর করছেন। সে জন্য দুর্গাপুরের উপরে জোর দিতে চাইছেন প্রার্থী স্বয়ং। দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতাদের দাবি, গতবারের বিশাল ব্যবধান কমানো তো বটেই দু’দিক যাতে সমান থাকে তার জন্য জোর দেওয়া হয়েছে। শিল্পাঞ্চলের পাশে কৃষি প্রধান এলাকা থেকেও গতবার হেরে গিয়েছিল তৃণমূল। বিধায়ক নেপাল ঘড়ুইয়ের দাবি, “আমরা জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত।” আর প্রার্থী বলেন, “আমি এখানে থাকতে এসেছি। কৃষি আর শিল্পের উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করব।”

তৃণমূলের দাবি, বর্ধমান পূর্বের পাঁচটি বিধানসভা বর্ধমান শহর লাগোয়া। বর্ধমান শহর থেকে ভাতার, মন্তেশ্বর, গলসিতে যেতেও প্রার্থীর অসুবিধা হবে না। তা ছাড়া প্রার্থী শুধু প্রচার করবেন, এমনটা নয়। ভোটের যাবতীয় বিষয়ে কর্মী-নেতারা প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। প্রচারের সময়সূচি ঠিক করা, প্রস্তুতি বৈঠকের নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই প্রার্থীর উপস্থিতি জরুরি। এ ছাড়াও এই আসনের কমিশনের কেন্দ্রও বর্ধমান শহর। রিটার্নিং অফিসার জেলাশাসক। সে জন্য বর্ধমান ছাড়া অন্য জায়গা থেকে প্রার্থীর পক্ষে ভোট পরিচালনা সম্ভব নয়। তৃণমূলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহরায় বলেন, “কয়েকটা বাড়ি দেখা হয়েছে। চূড়ান্ত
কিছু হয়নি।”

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 kirti azad TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy