( বাঁ দিকে) সৌমিত্র খাঁ। সুজাতা মণ্ডল (ডান দিকে)।। — ফাইল চিত্র।
সৌমিত্র খাঁ এই এগিয়ে, তো পর ক্ষণেই পিছিয়ে। তখন উল্লাস তৃণমূল শিবিরে। এগিয়ে যাচ্ছেন সুজাতা মণ্ডল। কিছু ক্ষণ যেতে না যেতেই পরিস্থিতি বদল। এই ভাবেই দিনভর টান টান উত্তেজনা রইল বিষ্ণুপুর আসনে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল প্রাক্তন দম্পতি সৌমিত্র এবং সুজাতার মধ্যে। একেবারে শেষে সৌমিত্র এগিয়ে ছিলেন। তবে ২০১৯ সালের তুলনায় ব্যবধান অনেকটাই কম। মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকটি ইভিএম পুনর্গণনার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই গণনার কাজ শুরু হয় রাতের দিকে। তার পর সৌমিত্রের জয়ের কথা ঘোষণা করা হয়। তিনি সুজাতার চেয়ে ৫৫৬৭ ভোট বেশি পেয়েছেন।
২০১৪ সালে এই আসন থেকেই তৃণমূলের টিকিটে সৌমিত্র জিতেছিলেন প্রায় দেড় লাখ ভোটে। আর ২০১৯ সালে জয়ের ব্যবধান ছিল ৭৮ হাজারের মতো। তবে সৌমিত্রের সেই জয়ে বড় ভূমিকা ছিল সুজাতার। সে বার আইনি জটিলতায় সৌমিত্র বিষ্ণুপুরে ঢুকতেই পারেননি। গোটা লোকসভা এলাকা চষে ফেলেছিলেন সহধর্মিনী সুজাতা। শেষ পর্যন্ত বিষ্ণুপুরে জেতে বিজেপি। জেতেন সৌমিত্র। তাঁর জয়ে প্রাক্তন স্ত্রীর ভূমিকার কৃতিত্ব দিয়েছিলেন সৌমিত্র। তার বছর দুয়েকের মধ্যেই দম্পতির পথ দুই ফুলে বেঁকে যায়। নীলবাড়ির লড়াইয়ের মুখে মুখেই সুজাতা তৃণমূলে যোগ দেন এবং আরামবাগে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। জিততে পারেননি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের সদস্য হয়েছেন।
সংসার ভেঙে যাওয়ার আগে ও পরে ব্যক্তিগত লড়াইয়ে অনেক কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে সৌমিত্র এবং সুজাতার মধ্যে। বিষ্ণুপুরে সুজাতাকে প্রার্থী করাটা তৃণমূলের পক্ষে একটা চমকই ছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন সহজেই জয় পেয়ে যাবেন সৌমিত্র। তবে কোনও কোনও মহল থেকে বলা হয়েছিল, সুজাতা খুব সহজে মাঠ ছাড়বেন না সৌমিত্রকে। সেটা দেখা গেল মঙ্গলবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy