—প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়ম অনুসারে এ বার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন করা হবে প্রত্যেক আধিকারিকের।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা প্রশিক্ষণ দেবেন এবং যাঁরা ভোট পরিচালনা করবেন, তাঁদের প্রত্যেককেই এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। নির্দিষ্ট মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে না পারলে তাঁদের দ্বিতীয় বার প্রশিক্ষণ নিতে হবে বলেও জানা গিয়েছে। নতুন এই পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ অনেক বেশি কার্যকর হবে বলে আশা করছেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকেরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অনেক ক্ষেত্রে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ভোটকর্মীদের একাংশের মধ্যে ভোটের বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অভাব লক্ষ করা যায়। আসন্ন নির্বাচনে যাতে সে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান আধিকারিকেরা।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক আজমল হোসেন বলেন, “প্রশিক্ষণের শেষে উপস্থিত সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি স্পষ্ট হল কি না, তা বুঝে নিতেই অনলাইনে নির্বাচনের কমিশনের একটি লিঙ্কে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সেই উত্তরের ভিত্তিতে ভোটকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। কেউ সেখানে পিছিয়ে থাকলে, তাঁকে আবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে আমাদের রাজ্যের ভোটকর্মীদের মধ্যে সচেতনতা অনেকটাই বেশি। তাই মূল্যায়নের ফল নিশ্চয় ভাল হবে।”
বীরভূম জেলায় যাঁরা ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন, সেই ব্লক স্তরের মাস্টার ট্রেনার, বিধানসভা স্তরের মাস্টার ট্রেনারদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং অফিসার এবং সেক্টর অফিসারদের প্রশিক্ষণও হয়ে গিয়েছে।
নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেই এই মাস্টার ট্রেনারেরা প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
আজমল হোসেন জানান, ভোট ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই ভোটকর্মীদের প্রথম প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনটি মহকুমা এলাকায় পাঁচটি করে মোট ১৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
জেলায় মোট ২৩৯টি বুথকে পিঙ্ক বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র মহিলা ভোটকর্মীরাই ভোট পরিচালনা করবেন। প্রতিটি মহকুমা এলাকায় একটি করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুধুমাত্র মহিলা ভোটকর্মীদেরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
রামপুরহাট মহকুমা এলাকায় মোট ৫,১৩২ জন পুরুষ এবং ৪৫০ জন মহিলা, সিউড়ি মহকুমা এলাকায় মোট ৬,১৮৮ জন পুরুষ এবং ৪৫০ জন মহিলা এবং বোলপুর মহকুমা এলাকায় ৪,২০৮ জন পুরুষ এবং ৩৫০ জন মহিলা ভোট কর্মীকে প্রশিক্ষণে ডাকা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজমল হোসেন বলেন, “প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত বন্দোবস্ত সারা আছে। নির্বাচন ঘোষণা করা হলেই আমরাও প্রশিক্ষণের দিনক্ষণ জানিয়ে দেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy