—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে পার্শ্ববর্তী জেলা পুলিশের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানে জোর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে মদের দোকানের উপরেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। বুধবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের নির্দেশ, পার্শ্ববর্তী জেলা পুলিশের মধ্যে দুষ্কৃতী ও সমাজবিরোধীদের সম্পর্কে তথ্য আদানপ্রদান করতে হবে, নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করতে হবে। রাজ্য পুলিশ দুই জেলার সীমানায় টহল ও কড়া নজরদারি চালাবে। যৌথ ভাবে দু’টি জেলা পুলিশ নাকাচেকিং চালাবে। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচি ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জোর দিয়েছে কমিশন।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই জেলায় জেলায় পুলিশকে গ্রেফতারি যোগ্য পরোয়ানা কার্যকর করার বিষয়ে জোর দিতে বলে নির্বাচন কমিশন। সেই থেকে ধরপাকড় বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নাকাচেকিং-ও।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, জেলায় প্রায় ৩০টি নাকা চেকিং পয়েন্ট রয়েছে। সব ক’টিই নজরদারি ক্যামেরার আওতায়। লাগাতার নাকাচেকিং ও কিছু ক্ষেত্রে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলায় এখনও পর্যন্ত ২২টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৬টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাগুলিতে যুক্ত অভিযোগে ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, জেলার প্রতিটি সীমানা এলাকায় কড়া নজরদারি ও নাকা চেকিং জারি রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে পার্শ্ববর্তী জেলা পুলিশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক শুরু হয়েছে। পড়শি জেলা ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পুলিশ ও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এক দফা করে বৈঠক করেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। সেখানে উভয় জেলায় চিহ্নিত দুষ্কৃতী, সমাজবিরোধীদের সম্পর্কে তথ্যের আদানপ্রদান হয়েছে। সীমানা এলাকায় পরিকল্পনা মাফিক নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে বৈঠকে। শীঘ্রই আর এক পড়শি জেলা পুরুলিয়ার পুলিশের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া জেলায় চার কোম্পানি আধাসেনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আধাসেনারা জেলার প্রতিটি থানা এলাকাতেই একাধিকবার টহল দিয়েছে। প্রতিদিনই নানা এলাকা চিহ্নিত করে টহল দিয়ে চলেছে আধাসেনা। পুলিশ কর্তা ও আধিকারিকেরাও টহলে থাকছেন।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ সব রকম ভাবে সক্রিয় রয়েছে। নাকাচেকিং, পার্শ্ববর্তী জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলা, গোপন সূত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার উপরে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। দুষ্কৃতী ও সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচি ও প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়েও পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে নির্বাচন পরিস্থিতিতে মদের দোকানগুলির উপর বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মদের দোকানে পরিদর্শন করা এবং নিয়ম মেনে কাজকর্ম করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে আবগারি বিভাগকে।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “আবগারি বিভাগ হঠাৎ পরিদর্শন চালিয়ে যাচ্ছে মদের দোকানগুলিতে। মেমো কেটে মদ বিক্রি করা হচ্ছে কি না দেখা হচ্ছে। এছাড়া এক সঙ্গে অনেক বোতল মদ কোনও বিশেষ ক্রেতাকে দেওয়া হচ্ছে কি না, খোঁজ রাখা হচ্ছে তা-ও। আবগারি বিভাগ এ নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট দিচ্ছে জেলা প্রশাসনকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy