জাতীয় নির্বাচন কমিশন। — ফাইল চিত্র।
আধার কার্ড বাতিল হওয়ার ঘটনা নিয়ে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, আধার কার্ড না থাকলেও ভোটদানে সমস্যায় পড়তে হবে না সাধারণ ভোটারকে। শনিবার টুইট করে কমিশন এ বার জানাল, ভোটার কার্ড সঙ্গে না থাকলেও ভোটারদের সমস্যা হবে না। একই সঙ্গে স্থির হয়েছে, রাজ্যের মোট ভোট কেন্দ্রের প্রায় ৫২ শতাংশে ওয়েবকাস্টিং ব্যবস্থা থাকবে। অর্থাৎ, ওই বুথগুলিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট পরিচালনা সরাসরি নজরে রাখবেন কমিশন-কর্তারা। রাজ্য সফরে এসে কমিশন ছাপ্পা ভোট রোখার যে বার্তা দিয়ে গিয়েছিল, তার সঙ্গে এই পদক্ষেপকে মানানসই বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোটার তালিকায় নাম থাকলে বিকল্প কোন কোন পরিচয়পত্র থাকলে ভোট দেওয়া যাবে, তা-ও জানিয়েছে কমিশন। তার মধ্যে থাকছে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, কেন্দ্র-রাজ্য-সরকার অধিগৃহীত সংস্থার সচিত্র পরিচয়পত্র, সাংসদ-বিধায়কদের দেওয়া সরকারি পরিচয়পত্র, সচিত্র ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসের পাসবুক, প্যান কার্ড, রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার স্মার্ট কার্ড, একশো দিনের কাজের জব কার্ড, শ্রম মন্ত্রকের কোনও প্রকল্পের স্বাস্থ্য বিমার কার্ড, বিশেষ ভাবে সক্ষমদের ইউনিক কার্ড, সচিত্র পেনশন নথি অথবা আধার কার্ড।
রাজ্যে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৫৩। তার মধ্যে ওয়েবকাস্ট হবে ৪২ হাজার বুথে। ভোট বিশেষজ্ঞদের মতে, মোট বুথের ৫০% অথবা স্পর্শকাতর অথবা সংবেদনশীল বুথের মধ্যে যে সংখ্যা বেশি, ততগুলি বুথে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্য সফরে এসে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, ছাপ্পা ভোট রুখতে আইনি পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের।
এ ছাড়াও একাধিক অ্যাপ চালু করেছে কমিশন। ‘ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ’-এ সাধারণ কাজকর্ম যেমন হবে, তেমনই ভোটের গোলমালের ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করতে পারবেন নাগরিকেরা। ওই ধরনের অভিযোগ পেলে ১০০ মিনিটের মধ্যে পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, ‘নো ইয়োর ক্যান্ডিডেট’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রার্থীর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন ভোটাররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy