বড়জোড়ায় সিপিএমের দেওয়াল লিখন।
প্রচারে নেমে পড়েছেন বিজেপি ও তৃণমূলেরা প্রার্থীরা। কিন্তু এখনও রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের আসন সমঝোতা আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম দ্রুত ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, দেরিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলে, প্রচারে তাঁরা পিছিয়ে পড়বেন।
বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে। মূলত বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে তাঁদের মতামত জানতে চাওয়া হয়।
জেলা কংগ্রেসের অন্যতম কার্যকরী সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জোট নিয়ে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মেনে নেব। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে আর দেরি করা ঠিক হবে না। প্রদেশ নেতৃত্বকে তা জানিয়েছি। দলের ভোটের ময়দানে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন।’’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাঁকুড়া জেলায় রাজনৈতিক ভাবে তৃতীয় শক্তিশালী দল সিপিএমেও ঘরে-বাইরে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে দাবি তীব্র হয়ে উঠেছে। বছরভর নানা আন্দোলনের মাধ্যমে নিচুতলার কর্মীদের চাঙ্গা করার কাজ চালিয়ে গিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। কয়েক সপ্তাহ ধরে বুথে বুথে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। নেতৃত্বের দাবি, জেলায় ৫০ শতাংশের বেশি বুথে কমিটি গঠনের কাজ সারা হয়েছে। ইতিমধ্যে অঞ্চল ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনও শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
প্রার্থীর নাম বাদ রেখে কোথাও কোথাও দেওয়াল লেখাও শুরু হয়েছে। তবে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় প্রচারের সেই ঝাঁঝ নেই বলে ক্ষোভ সিপিএম কর্মীদের একাংশের মধ্যে। দলের এক এরিয়া কমিটির সম্পাদক বলেন, ‘‘প্রার্থী ঘোষণায় দেরির জন্য নিচুতলার কর্মীরা অনেকেই হতাশ। অথচ বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীরা চুটিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। তাতে আমাদের কর্মীদের ক্ষোভ আরও বাড়ছে। এ সব দেখে বুথ কমিটির সদস্যদের বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাওয়া ও অর্থ সংগ্রহের কাজে নামানো হয়েছে।’’
সিপিএমের এক জেলা কমিটির সদস্য বলেন, ‘‘নির্বাচন ঘোষণা না হলেও পুরোদস্তুর ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আমাদের কর্মীরা মাঠে না নামতে পেরে নিরাশ হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের যতটা সম্ভব ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি আমরা।’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতির অবশ্য দাবি, ‘‘শীঘ্রই প্রার্থী ঘোষণা হবে। রাজ্য নেতৃত্ব প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’’
বিজেপি, তৃণমূল অবশ্য লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তের দাবি, ‘‘সিপিএম আগের বার নির্বাচনে বিজেপির কাছে নিজেদের ভোট বিক্রি করেছিল। এ বারও ওরা হয়তো সেটাই করবে। তবে সিপিএম নিয়ে সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা নেই।’’
পাল্টা বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘সিপিএম ভোট কাটুয়া হয়ে বিরোধী ভোট ভাগ করে তৃণমূলের সুবিধা করতেই ভোটে লড়বে।’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিতের অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘মুখোশের আড়ালে তৃণমূল ও বিজেপির জোটের কথা রাজ্যের মানুষের আর জানতে বাকি নেই। এ বার লোকসভা নির্বাচনে মানুষ নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে বামেদের
পক্ষেই রায় দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy