প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজটি সেরে রাখা হয়েছিল এক দিন আগেই। সেই অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগে তাঁকে চারটি প্রশ্ন ছুড়ে দিল কংগ্রেস। কার্যত তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে আজ মোদীর সফরের আগে কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সরকারের হাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সব থেকে বেশি হেনস্থার শিকার হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একই সঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়লেও, এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে মোদীকে বিঁধতে কসুর করেনি কংগ্রেস।
হালফিলে নরেন্দ্র মোদীর যে-কোনও রাজ্য সফরের আগেই তাঁকে প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে কংগ্রেস। আজ সকালে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর বিহারের সফরের আগে তাঁকে নিশানা করে কংগ্রেস। দুপুরে কোচবিহার পৌঁছনোর আগে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, “মোদী সরকারের হাতে বোধহয় আর কোনও রাজ্যের মানুষ এত বেশি হেনস্থার শিকার হননি। পশ্চিমবঙ্গে তাঁর সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাব দেওয়া উচিত।”
জয়রাম প্রশ্ন তুলেছেন, “২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মোদী রেকর্ড সংখ্যক ২২ বার পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলেন। তার পরে আর যাননি। বিজেপি ভোটের সময়ে বাংলায় যেতে তৈরি হলেও রাজ্যের জন্য বিজেপি সরকার কিছু করতে চায় না কেন?” রমেশের আরও এক প্রশ্ন, “কেন ২০২১-এর ভোটে বিজেপির হারের পরেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়া হল? কেন প্রধানমন্ত্রীর ইগো-র জন্য সাধারণ মানুষ ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, জল জীবন মিশনের টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন?”
বিজেপিতে যোগ দিয়ে কেন শুভেন্দু অধিকারী নারদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত থেকে রেহাই পেলেন, কেন তাপস রায়ের বাড়িতে ইডি হানার পরেও তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়ে গেলেন, তা নিয়েও কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে। রমেশের প্রশ্ন, “বিজেপির ওয়াশিং মেশিন পশ্চিমবঙ্গে পুরোদমে ঘুরছে। তা হলে বিজেপি অন্য রকম হওয়ার দাবি করে কী ভাবে?”
কংগ্রেসের প্রশ্ন, বিজেপি ২০০৪ থেকে দার্জিলিং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বার বার দার্জিলিং আসনে জেতার পরেও বিজেপি কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি? কংগ্রেস পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবির মুখে জিটিএ, তার আগে গোর্খা পার্বত্য পরিষদ তৈরি করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রী কেন শুধু ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy