(বাঁ দিকে) মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং আব্দুল খালেক। ছবি: এক্স।
গত শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেসনেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং খড়্গের সঙ্গে বৈঠকের পরে অসমের বরপেটার কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক তাঁর ইস্তফা প্রত্যাহারের কথা জানালেন।
খালেক বুধবার বলেন, ‘‘আমি গত ২৫ বছর ধরে কংগ্রেস করছি। অন্য দলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।’’ ইস্তফা প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে লেখা চিঠিতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দু’বারের বিধায়ক এবং বর্তমান সাংসদ হিসাবে আমি কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে তার প্রতিকার চেয়েছিলাম। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশ্বাস এবং সনিয়াজির আশীর্বাদ পেয়েছি। গণতান্ত্রিক শক্তিকে শক্তিশালী করা প্রত্যেক গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল চেতনাসম্পন্ন ব্যক্তির কর্তব্য ও দায়িত্ব। কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা সময়ের দাবি। তাই আমি পদত্যাগ প্রত্যাহার করছি।’’
কংগ্রেস সূত্রের খবর, খালেককে আবার তাঁর পুরনো কেন্দ্র বরপেটায় প্রার্থী করা হতে পারে। যদিও সিপিএমের তরফে নিম্ন অসমের ওই কেন্দ্র চেয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়ানো হয়েছে। এআইসিসির পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র সিংহ বুধবার অসমে বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে যাবে। সিপিএম আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা বলেন, ‘‘মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত পরিস্থিতির বদল ঘটতে পারে।’’
অসমে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ (নেডা)-র মোকাবিলায় কয়েক মাস আগে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, বাম এবং কয়েকটি আঞ্চলিক দল মিলে ‘ইউনাইটেড অপোজিশন ফোরাম অফ অসম’ নামে জোট তৈরি করেছিল। কিন্তু তৃণমূল এবং আপ ইতিমধ্যেই আলাদা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে লুরিনজ্যোতি গগৈয়ের অসম জাতীয় পরিষদ, অখিল গগৈয়ের রাইজর দল, জনজাতি সংগঠন ‘অল পার্টি হিল লিডারস কনফারেন্স’, জাতীয় দল অসমের মতো স্থানীয় সংগঠন ও বামেদের সঙ্গে সমঝোতার উপর জোর দিচ্ছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy