রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
রাহুল গান্ধী যখন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বেকারত্ব ও সরকারি চাকরিতে শূন্যপদকে লোকসভা ভোটের প্রধান অস্ত্র করতে চাইছেন, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরাও আরও বেশি নিয়োগ ও পদোন্নতির দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন।
আজ রাহুল গান্ধী মধ্যপ্রদেশে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা থেকে বেকারত্বই দেশের প্রধান সমস্যা বলে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার খালি পদ নিয়ে সরব হয়েছেন। ঠিক তখনই দিল্লিতে নর্থ ব্লকের সামনে কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের কর্মীরা শান্তি মিছিল করেছেন। তার পরে প্রধানমন্ত্রী দফতরের অধীন কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ সচিবের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে জানিয়েছেন, কাজের চাপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরও নিয়োগ ও পদোন্নতির দাবিতে তাঁরা আগামী সপ্তাহে আরও তিন বার শাস্ত্রী ভবন, নির্মাণ ভবন, নর্থ ব্লকে শান্তি মিছিল করবেন। তার পরেও সরকারের ঘুম না ভাঙলে অসহযোগ আন্দোলন
শুরু করবেন।
কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের কর্মীদের ফোরামের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতর কর্মীর অভাবে ভুগছে। ২০২২-এ এই নিয়ে কমিটি তৈরি হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। বিভিন্ন দফতর আড়াই হাজার অতিরিক্ত কর্মীর দাবি জানিয়েছে। এ দিকে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচির ফলে কাজের চাপ বেড়েছে। পদোন্নতি ছাড়াই কর্মীরা অবসর নিচ্ছেন।
আজ রাহুল গান্ধী বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর মনোভাবই রোজগারের সুযোগ না দেওয়া। নতুন পদ তৈরি তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় সরকারে কোটি কোটি খালি পদ পড়ে রয়েছে। সংসদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৭৮টি সরকারি বিভাগে ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার পদ খালি। রাহুল বলেছেন— শূন্য পদে নিয়োগ, কর্মসংস্থানের জন্য কংগ্রেস একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তাতে চাকরির দরজা খুলবে। বেকারদের জীবনে আঁধার ঘুচবে। রাহুল গত কালই আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বলেছিলেন, ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২৩ শতাংশের বেশি। যা পাকিস্তানের দ্বিগুণ।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের ইস্তাহারে জার্মানির মতো শিক্ষানবিশির ‘অ্যাপ্রেন্টিসশিপ মডেল’ পেশ করতে চলেছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে একই সঙ্গে জার্মানির বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মডেল ভারতীয় ধাঁচে তৈরির চেষ্টা করবে। পি চিদম্বরমের নেতৃত্বে আজ কংগ্রেসের ইস্তাহার কমিটিতে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কালও বৈঠক হবে। রাহুল আজ ন্যায় যাত্রায় বলেন, “দেশের সব থেকে বড় সমস্যা বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও দুর্নীতি। কিন্তু তার বদলে টিভিতে অম্বানীদের বিয়ে, বলিউডের তারকাদের দেখানো হয়। আগে তরুণদের সামনে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, পুলিশ ও সেনায় চাকরির সুযোগ ছিল। এখন সেই রাস্তা বন্ধ করে সেনায় অগ্নিবীর প্রকল্প আনা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র কিছু শিল্পপতির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy