(বাঁ দিকে) হর্ষবর্ধন স্রিংলা। রাজু বিস্তা (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
শেষ রাউন্ডে কি এগিয়ে গেলেন তিনি? গত দু’দিন ধরে দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তার তৎপরতা দেখে এমন প্রশ্নই তুলেছেন পাহাড় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল।
এর জবাব দিতে গিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা দার্জিলিং আসনটি নিয়ে রাজু বিস্তা ও প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার মধ্যেকার নীরব টানাপড়েনের প্রসঙ্গ তুলেছেন। বিশেষত পাহাড়ের ব্যাপারে গত পাঁচ বছরে বিস্তা-র কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এবং সম্প্রতি জেলায় শ্রিংলার তৎপরতা বাড়ায় জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করছে বিজেপি? যশোবন্ত সিংহ, সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া, রাজু বিস্তার পরে শ্রিংলা? কিন্তু গত কয়েক দিনে প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতির তদারকি থেকে শুরু করে শনিবার কাওয়াখালির সভায় বিস্তাকে স্বমহিমায় দেখে দলের অনেকেই আলোচনা করছেন, তবে কি পাহাড়ে প্রার্থী বদলের এত দিনের রীতি বদলাতে চলেছে বিজেপি?
শ্রিংলাকে এ দিন পাওয়া যায়নি। শোনা যায়, তিনি বিমানবন্দরে গিয়েছেন। পরে জানা যায়, তা ঠিক নয়। পক্ষান্তরে, বিস্তা কর্মীদের অনুরোধে এ দিন নিজস্বী তোলেন। তাঁকে মণিপুরে প্রার্থী করা হতে পারে বলে দলে আলোচনা হচ্ছিল। বিস্তা বলেন, ‘‘মণিপুর আমার জন্মভূমি। দার্জিলিংই আমার কর্মভূমি।’’ রাজ্য কমিটির এক নেতা বলেন, ‘‘দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি তালিকা চূড়ান্ত করেছে। রবিবার বা সোমবারের মধ্যে সব স্পষ্ট হবে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, বিস্তা ও শ্রিংলাকে ঘিরে দার্জিলিং জেলা বিজেপি কার্যত দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। তবে বিস্তার দিকেই পাহাড় সমতলের লোকজন, পদাধিকারীরা রয়েছেন। তাঁর অত্যন্ত ‘ঘনিষ্ঠ’ শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের সম্পর্ক ভাল। দলের সমতলের সভাপতি অরুণ মণ্ডল ও পাহাড়ের সভাপতি কল্যাণ দেওয়ানও বিস্তার প্রতি আস্থার কথা বলেছেন। পাহাড়ে বিজেপির সঙ্গী জিএনএলএফের মন ঘিসিং, নীরজ জিম্বারা দিল্লিতে অমিত শাহের কাছে রাজুর প্রশংসা করেছেন, দাবি।
সূত্রের খবর, দলের যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সম্পাদক বিস্তার সঙ্গে যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যের ভাল সম্পর্ক। সেখান থেকেও মোদী-শাহদের কাছে বিস্তার নাম পৌঁছতে পারে বলে দাবি বিজেপি সূত্রের। সূত্রটির আরও দাবি, শ্রিংলা বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তর থেকে দিল্লিতে প্রার্থী পদের জন্য তদ্বির করেছেন। নিজেকে ‘ভূমিপুত্র’ দাবি করার পাশাপাশি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে তিনি দার্জিলিঙের জন্য গত কয়েক বছরে কী করেছেন, তার প্রচারও চালিয়েছেন।
শনিবার সভার শেষে বিস্তা হাসতে হাসতে গাড়িতে ওঠেন। তা হলে কি শেষ হাসি তিনিই হাসলেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy