লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার আগেই শুরু বিজেপির দেওয়াল লিখন। রবিবার শান্তিপুরে। ছবি: প্রণব দেবনাথ।।
লোকসভা ভোটে ঢাকে কাঠি পড়ার আগেই দেওয়াল লিখন শুরু করে দিল বিজেপি। ভোটের ফলে যে শান্তিপুর নিয়ে সাম্প্রতিক কালে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সবথেকে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। সেখানেই রবিবার বিজেপিকে জয়ী করার আবেদন জানিয়ে দেওয়াল লেখা শুরু করে দিলেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা।
সাম্প্রতিক কালে নির্বাচনের ফলে যে জায়গা নিয়ে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে সমান তালে টক্কর হয়েছে তা শান্তিপুর। গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে শান্তিপুর থেকে বড় মার্জিনে লিড নিয়েছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হাতছাড়া হয় শান্তিপুর। যদিও কয়েক মাস পরে উপ নির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভা ফের নিজেদের দখলে নিয়ে আসে তৃণমূল। পরে পুরসভার ভোটেও শান্তিপুর পুরবোর্ড দখলে রাখে তৃণমূল। তবে সেখানে এবার খাতা খুলে বিজেপি জয়ী হয় দুটি ওয়ার্ডে। পঞ্চায়েত ভোটে অবশ্য শান্তিপুরে ধাক্কা খায় তৃণমূল। জেলার মধ্যে একমাত্র শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি। পাশাপাশি শান্তিপুর বিধানসভার মধ্যে বাগআঁচড়া, গয়েশপুরের মতো গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি।
জেলার দক্ষিণে এই একটি মাত্র বিধানসভা রয়েছে তৃণমূলের হাতে। আবার জেলার একমাত্র শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির। দুই দলের এই টানাপড়েনে লোকসভা ভোটে শান্তিপুরকে পাখির চোখ করেছে দু’পক্ষই। শান্তিপুর থেকে লিড নেওয়াটা দুই দলের কাছেই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দিন কয়েক আগে শান্তিপুরে প্রশাসনিক সভা করতে এসে রানাঘাট লোকসভা জয়ের লক্ষ্য বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রানাঘাট লোকসভা জয়ের পাশাপাশি শান্তিপুর থেকেও লিড নেওয়াটা তাই এখন দু’দলের কাছে সম্মানের লড়াই।
সেই ভোটের লড়াই শুরুর আগে রবিবার থেকেই শান্তিপুরের একাধিক জায়গায় দেওয়ার লেখার কাজ শুরু করে দিল বিজেপি। এর আগে দু’পক্ষই দেওয়াল দখলের কাজ সেরেছিল। রবিবার থেকে বিজেপির তরফে শুরু হয় দলের প্রতীক এঁকে দেওয়াল লিখন। প্রার্থীর নামের জায়গায় অবশ্য ফাঁকা রাখা হয়েছে। ভোটযুদ্ধে নেমে এভাবে এক ধাপ এগিয়ে থেকে শুরু করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। দলের যুব মোর্চার শান্তিপুর বিধানসভার আহ্বায়ক সৌরভ বিশ্বাস বলেন, "প্রার্থী স্থির করাটা আমাদের এক্তিয়ার নয়। সেটা দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন নিয়ে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছি আমরা।"
বিজেপির এ কাজকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। শান্তিপুরের বিধায়ক তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, "মানুষ ভোট দেবেন তাদের যারা সারা বছর পাশে থাকে। সেটা তৃণমূল করে। বিজেপি যাই বলুক, ওদের ভুল বোঝানোয় মানুষ আর ভুলবে না।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy