প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে কুকথা বলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল রাজ্য বিজেপি। সেই সঙ্গেই বসিরহাটের দলীয় প্রার্থী রেখা পাত্রের ব্যক্তিগত তথ্য সমাজমাধ্যমে ফাঁস করার অভিযোগও করেছে তারা।
পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার বক্তৃতার একটি ‘ভিডিয়ো ক্লিপ’-এ প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ওই মন্তব্য নিয়েই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। ওই ভিডিয়ো ক্লিপ-এ তৃণমূলের ওই নেতাকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘তেলির ছেলে’ বলতে শোনা গিয়েছে। আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি। সেই ভিডিয়ো ক্লিপটি সামনে এনে এক্স হ্যান্ড্লে ঘটনার নিন্দা করে ওই মন্তব্যকে তৃণমূলের দলীয় বক্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবং জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের চেয়ারম্যান হংসরাজ আহিরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কাঁথির ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি করেন। তার পরেই এই নিয়ে কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া এবং যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। শিশির বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সমাজের যে স্তর থেকে উঠে এসেছেন, তা দেশের জন্য গর্বের। এই নিয়ে কটাক্ষ করা জঘন্য মানসিকতার পরিচয়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) কাছে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছি।’’
বসিরহাটের দলীয় প্রার্থী রেখার ব্যক্তিগত তথ্য সমাজমাধ্যমে আনা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে আগেই। ব্যক্তিগত তথ্য শাসক দলের হাতে দেওয়ার অভিযোগে নবান্নের আধিকারকদের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘আসলে বিজেপি এত বেশি বিধিভঙ্গ করেছে, এত বেশি অসৌজন্য করেছে, সে সব থেকে নজর ঘোরাতে নাটক করছে! নির্বাচন কমিশন তো দিলীপ ঘোষকেও ভর্ৎসনা করেছে।’’
ইটাহারের আইসি তৃণমূলের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। হবিবপুরের বিডিও এবং আইসি স্থানীয় তৃণমূলী নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া পোশাকে বৈঠক করছেন বলে ছবি দেখিয়েছেন শিশির। যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ আবার বারুইপুর পূ্র্ব কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ‘‘যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থীকে পাশে বসিয়ে বিভাস বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোকাবিলায় তাঁরা মা লক্ষ্মীর বাহিনী অর্থাৎ স্থানীয় মহিলাদের পাঠিয়ে দেবেন। এটা ভোট লুট এবং সন্ত্রাসের পরিকল্পনা।’’ প্রচারে সরকারি হোর্ডিং ব্যবহারের সুযোগ নিয়েও দলবাজির অভিযোগ করেছে বিজেপি। পুরসভার হোর্ডিংয়ে সব দল যাতে সমান সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্থার জন্য কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে তারা। কুণালের পাল্টা খোঁচা, ‘‘সব আসনে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না যারা, তারা হোর্ডিং নিয়ে কী করবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy