চায়ের আসরে সৌমেন ও শান্তিরাম। ছবি: দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে নরেন্দ্র মোদী জনসংযোগে চা-কে হাতিয়ার করেছিলেন ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে। একসময়ে চা বিক্রি করে যার ছেলেবেলা কেটেছে, সেই মোদীর ‘চায়ে পে চর্চা’ রাজনৈতিক মহলে তখন শোরগোল ফেলেছিল। পেয়ালা ঘুরে সেই চা এখন অন্য দলেরও নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তাই পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোকে বুধবার জনসংযোগে চা চক্র করতে দেখে বিঁধতে ছাড়লেন না বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গা।
বুধবার ঝালদার তুলিনের হাটবাগানে দলের এক কর্মিসভায় যোগ দেওয়ার পরে শান্তিরাম কাছের একটি চায়ের দোকানে যান। সেখানে তিনি চা খেতে খেতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। সঙ্গে ছিলেন দলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো প্রমুখ।
বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেকের দাবি, ‘‘পায়ের তলা থেকে মাটি সরেছে বলে তৃণমূলের নেতারা এখন সবকিছুতেই বিজেপিকে নকল করার চেষ্টা শুরু করেছেন। কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির নাম বদলে এ রাজ্যে চালানো হচ্ছে। বিজেপির শুরু করা চা চক্রও এখন নকল করতে শুরু করেছে তৃণমূল। তবে এতে লাভ হবে না।’’
যদিও শান্তিরামের দাবি, ‘‘চা খেয়ে মানুষের সাথে কথাবার্তা বলে সুখ-দুঃখের কথা ভাগাভাগি করে নেওয়াটা পরম্পরা। এতে নকল করার মতো কিছুই নেই। যেখানে যাচ্ছি অভূতপূর্ব সাড়া মিলছে।’’
কর্মিসভায় শান্তিরাম প্রচারে ঝড় তুলতে নির্দেশ দেন। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে বলেন। বিরোধী কোনও দলকে ভোট দিয়ে যাতে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে না দেওয়া হয়, কর্মীদের তা ভাল করে প্রচার করতে বলেন তিনি। সৌমেন দেওয়াল লিখনের কাজে আরও গতি আনতে নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy