মঙ্গলবার রং খেলার দিন জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তরে এক প্রস্থ মনোনয়ন জমা দিতে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়, মনোনয়ন কেন্দ্রে ঢোকার আগে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। ছবি সন্দীপ পাল।
মনোনয়ন কেন্দ্রে দেখা তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থীর। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরে দেখা হল বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায় এবং তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের। মঙ্গলবার মনোনয়ন দিতে এসেছিলেন জয়ন্ত। অন্য দিকে, আগে মনোনয়ন জমা দিলেও এ দিন কিছু নথি জমা দিতে এসেছিলেন নির্মল। তিনি বেরিয়ে এসে বলেন, “বিদায়ী সাংসদের সঙ্গে দেখা হল, সৌজন্য বিনিময় হল।” মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে এসে জয়ন্তও বললেন, “নির্মলচন্দ্র রায়ের সঙ্গে দেখা হল, কথা হল। ভোটের ময়দানে রাজনীতি হবে, সৌজন্য বিনিময়ও হল।”
অন্য দিকে, মিছিলে ‘অযাচিত বিশৃঙ্খলার’ ভয়ে তটস্থ বিজেপি রীতি বদলে দু’দিনে মনোনয়ন দেবে। এ দিন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত পাঁচ জনকে নিয়ে গিয়ে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন। আজ, বুধবার মিছিল করে হলফনামা জমা দিতে যাবেন তিনি।
কেন দু’দফায় মনোনয়ন? আজ, বুধবার প্রথম দফার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। নথিপত্রে ভুল হলে নতুন করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। সে কারণে মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু এ দিন মিছিলে আপত্তি ছিল বিজেপি নেতাদের। কারণ, আবির খেলার পরের দিন উত্তরবঙ্গে হোলি অর্থাৎ, জলরঙের খেলা হয়। মিছিল করলে বহু ‘অবাঞ্ছিত’ ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় মিছিলে ঢুকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল বিজেপি নেতাদের। তার জেরে, অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা থাকে বলে নেতাদের ধারণা। অন্য দিকে, মিছিল ছাড়া মনোনয়ন জমা দিতে গেলে, সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনে তৃণমূল এবং বামেদের থেকে পিছিয়ে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা বিজেপি নেতাদের। সে সুযোগ ছাড়তে রাজি নন নেতাদের একাংশ। সে কারণেই দু’দফায় মনোনয়ন বিজেপির।
বিজেপি সূত্রের খবর, আজ, বুধবার দিশারী মোড় থেকে মিছিল বেরিয়ে শহর পরিক্রমা করে জেলাশাসকের দফতরে চূড়ান্ত মনোনয়ন জমা দিতে যাবে। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “মঙ্গলবার মনোনয়ন-নথি জমা হয়েছে। বুধবার সকলে মিলে হলফনামা জমা দিতে যাব, বিজয় মিছিলের মহড়াও হয়ে যাবে।” বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট হচ্ছেন জেলা সভাপতি। দলের একাংশের দাবি, প্রচারের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে জেলা বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রার্থী ঘোষণা দেরিতে হওয়ায় প্রচারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। শেষ মুহূর্তে বিদায়ী সাংসদকে প্রার্থী করা হলেও দলের অন্দরে নানা প্রশ্ন। জয়ন্তকে নিয়ে সঙ্ঘের আপত্তি ছিল বলে যে সূত্রের দাবি, সে সূত্রই জানাচ্ছে, ক্ষোভ এখনও পুরোপুরি মেটেনি। আবার বহু এলাকার কর্মীদের দাবি, বিদায়ী সাংসদকে গত পাঁচ বছরে এলাকায় ‘তেমন দেখা যায়নি’। সেই বিষয়টিও ‘বুমেরাং’ হতে পারে বলে আশঙ্কা আছে। এ দিন জেলাশাসকের দফতরে জয়ন্ত বলেন, “দল আমাকে দ্বিতীয় বার মানুষের সেবা করার দায়িত্ব দিয়েছে, আমি কৃতজ্ঞ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy