বিষ্ণুপুরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের সভায় উচ্ছ্বাসে মেতেছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল, বিধায়ক তন্ময় ঘোষ-সহ কর্মীরা। ছবি: অভিজিৎ অধিকারী
ভোটের বেলায় বড় ফুল, চাওয়ার বেলায় ছোট ফুল, মানা হবে না— প্রচারে বেরিয়ে সরাসরি ভোটারদের এমনই বলে বসলেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। সেই মন্তব্যের ভাইরাল ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাইকরেনি) ঘিরে জোর বিতর্ক বেধেছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ভিডিয়োটি ওন্দার নতুনগ্রামের। মঙ্গলবার সেখানে প্রচারে গিয়েছিলেন সুজাতা। ভিডিয়োয় এক বৃদ্ধাকে মাসি সম্মোধন করে সুজাতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভোট দেওয়ার সময় বড় ফুলে, আর চাওয়ার বেলায় ছোট ফুল! এখান থেকে যদি লিড না আসে তাহলে তোমাদের কোনও অভিযোগ শুনতে আমি তো দূর অস্ত, কোনও কর্মীকেও আসতে দেব না। বারবার বিজেপি জিতবে আর আমরা কাজ করে যাব, এটা হতে পারে না।’’ তিনি জুড়েছেন, ‘‘আমি সবাইকে বলে যাচ্ছি কোন বুথে বিজেপি, কোন বুথে তৃণমূল লিড পাচ্ছে তার তালিকা তৈরি হবে। যে বুথে তৃণমূল লিড পাবে সেখানে আমি জান দিয়ে রাতের অন্ধকারেও ছুটে যাব। যেখানে তৃণমূল লিড পাবে না সেখানে যাব না, কাউকে যেতেই দেব না এটা 'ক্লিয়ার কাট' বলে দিলাম।’’
সুজাতার এই মন্তব্যে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তবে সোমবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার পোয়াবাগানে বিজেপির কর্মিসভায় বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকারের মন্তব্যেও শোরগোল পড়েছিল। যে বুথে বেশি লিড, সেই বুথে সাংসদ তহবিলের তত বেশি কাজ হবে বলে বার্তা দিয়েছিলেন সুভাষ। এ দিন সুজাতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুভাষ বলেন, ‘‘আমি তো কর্মীদের উৎসাহ দিতে দলীয় কর্মিসভায় ওই মন্তব্য করেছিলাম। আর তৃণমূল প্রার্থী সরাসরি ভোটারদের কার্যত হুমকি দিচ্ছেন।’’ ওন্দার বিধায়ক তথা বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, ‘‘সুজাতার মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’’
সুজাতা অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘এখানকার মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে ঠকছেন। আমি কিছু অন্যায় বলিনি। ওন্দায় বারবার দল হারলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিচ্ছেন। তারপরেও এখানের মানুষ বিজেপিকে ভোট দিলে তৃণমূল কর্মী হিসেবে খারাপ লাগতেই পারে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি ভোটারদের কোনও রকম হুমকি দিইনি। আসলে ভোটারেরা আমাকে ঘরের মেয়ের মতো ভালবাসছেন দেখে বিজেপি ভয় পেয়ে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।’’ অমরনাথের অবশ্য ব্যাখ্যা, ‘‘উন্নয়ন করাটা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। রাজ্যের মানুষের টাকাতেই এলাকায় উন্নয়ন হয়। সেটা কারও জমিদারি নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy