সুভাষ সরকার। —ফাইল চিত্র।
পাঁচ বছরে কী কাজ হয়েছে? দলবল নিয়ে ভোটপ্রচারে বেরোনো বিজেপি প্রার্থীর উদ্দেশে এই প্রশ্নই ছুড়েছিলেন তৃণমূল নেতা। এই প্রশ্ন করায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে। বুধবার সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। শাসকদলের নেতার দাবি, তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ। পাল্টা সুভাষের দাবি, ‘‘তৃণমূল নেতার হাতে পাঞ্চ (এক ধরনের লোহার অস্ত্র, হাতে পরা হয়) ছিল। তাই মহিলারা তাঁকে তাড়া করেছিলেন।’’
বুধবার সকালে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের তেঘরি অঞ্চলে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সুভাষ। দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে হুডখোলা গাড়িতে চড়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার চালাচ্ছিলেন তিনি। বেলা ১১টা নাগাদ জগন্নাথপুর মোড়ে পৌঁছন সুভাষ। সেখানে তৃণমূল নেতা তথা ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আবির মণ্ডলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিদায়ী সাংসদের কাছে গিয়ে আবির জিজ্ঞাসা করেন, পাঁচ বছরে তিনি কী কী কাজ করেছেন। এর পরেই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন দু’জনে। সেই সময় আবিরের কাঁধে হাত দিয়ে প্রথমে তাঁকে কাছে টানার চেষ্টা করেন সুভাষ। অভিযোগ, এর পরেই তৃণমূল নেতাকে ধাক্কা দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। দু’তরফে কিছু ক্ষণ ধরে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর অনুগামীদের নিয়ে সেখান থেকে চলে যান সুভাষ।
আবিরের বক্তব্য, ‘‘একজন ভোটার হিসাবে আমার জানার অধিকার আছে, সুভাষ সরকার গত পাঁচ বছরের সাংসদ হিসাবে কী কাজ করেছেন। সুভাষ সরকারের কাছে তা জানতে গেলে উনি আমাকে গলা ধাক্কা দেন। বিজেপি কর্মীরা মত্ত অবস্থায় চড়াও হয়ে আমাকে মারধর করেন। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি এবং নির্বাচন কমিশনেরও নজরে আনছি। সুভাষ সরকার প্রচারের নামে এলাকায় এসে দুষ্কৃতীদের দিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। সাধারণ মানুষ তা মেনে নেবে না।’’
সুভাষ অবশ্য আবিরকে গলা ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘শুধুমাত্র তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। এলাকায় যে বিপুল কাজ হয়েছে, সেটা তৃণমূলের সহ্য হচ্ছে না। ওই তৃণমূল নেতার হাতে পাঞ্চ থাকায় মহিলারা তাঁকে তাড়া করেছিলেন। আমরা ছিলাম বলে ওঁকে (তৃণমূল নেতাকে) রক্ষা করা গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy