Advertisement
Back to
Arvind Kejriwal

স্বাতী বিতর্কে প্রথম বারের জন্য মুখ খুললেন কেজরী, রবিবার বিজেপি দফতরের সামনে আপের ‘জেল ভরো’

স্বাতী বিতর্কের পর কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বৃদ্ধি করতে রবিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরের সামনে ‘জেল ভরো’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কেজরীওয়াল।

Arvind Kejriwal announces \\\'jail bharo\\\' after Bibhav Kumar\\\'s arrest

স্বাতী মালিওয়াল (বাঁ দিকে) এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ২০:৪৯
Share: Save:

স্বাতী মালিওয়াল বিতর্কে আপ্তসহায়ক বৈভব কুমারের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম বার মুখ খুললেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তবে দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতীর নাম নেননি আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে গোটা বিতর্কের জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে দায়ী করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এক এক করে আপের সকলকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বৃদ্ধি করতে রবিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরের সামনে ‘জেল ভরো’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন কেজরীওয়াল। আপ প্রধান জানিয়েছেন, দলের সব নেতা দুপুর ১২টার সময় বিজেপির সদর দফতরের সামনে তাঁদের গ্রেফতার করার দাবি জানাবে। নেতাদের গ্রেফতার করে আপকে দমানো যাবে না বলে বলেও দাবি করেন কেজরীওয়াল। সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হাতজোড় করে মোদীর উদ্দেশে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীজি এই জেল জেল খেলা বন্ধ করুন। কাল দুপুর ১২টায় আমরা বিজেপি সদর দফতরে যাচ্ছি। সঙ্গে থাকবেন আমাদের দলের সাংসদ, বিধায়কেরা। যাকে ইচ্ছা গ্রেফতার করুন। আমাদের সবাইকে জেলে রাখুন। আপনি মনে করেন আপকে শেষ করে দিতে পারবেন? আপ একটি ধারণা। যত গ্রেফতার করবেন, তত এই ধারণা ছড়িয়ে পড়বে।”

শনিবার একটি ভিডিয়ো মেসেজে বিজেপির উদ্দেশে তোপ দেগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওরা আমাদের নেতাদের জেলে ভরছে। সঞ্জয় সিংহকে জেলে ভরেছে। আজ আমার আপ্তসহায়ককে গ্রেফতার করল।” একই সঙ্গে কেজরীর সংযোজন, “রাঘব চাড্ডা লন্ডন থেকে ফিরেছে। কেউ কেউ বলছে তারা রাঘবকেও গ্রেফতার করবে। তার পর তারা গ্রেফতার করবে অতিশী (মারলেনা) আর সৌরভ ভরদ্বাজকে।”

কেজরীওয়ালের দাবি, দিল্লিতে সরকারি স্কুল-কলেজের উন্নতি এবং সর্বক্ষণ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার ‘অপরাধেই’ তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আপের রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতীর দাবি, গত ১৩ মে কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেন কেজরীর আপ্তসহায়ক বৈভব। গালে চড় এবং পেটে লাথি মারা হয়। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন স্বাতী। সে রাতেই স্বাতীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয় দিল্লির এমসে। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে স্বাতী নিজের বয়ান নথিভুক্ত করেন। শনিবারই ‘নিগ্রহকাণ্ডে’ গ্রেফতার করা হয় বৈভবকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE