India-Russia Relation

ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন! ‘বন্ধু’ মোদীর সঙ্গে বৈঠকে উঠবে কি ইউক্রেন প্রসঙ্গ

রাশিয়ার প্রশাসনিক সদর দফতর ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই পুতিনের ভারতের সফরসূচি ঘোষণা করা হবে। তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:১৪
(বাঁ দিকে) রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

প্রথমে জুলাই মাসে, পরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে অক্টোবরে রাশিয়া গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসছেন ভারত সফরে। তবে এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তবে পুতিনের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন।

Advertisement

রাশিয়ার প্রশাসনিক সদর দফতর ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই পুতিনের ভারতের সফরসূচি ঘোষণা করা হবে। তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ভারতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন পুতিন। দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে এই সফরে। মোদী-পুতিনের সম্পর্ক অজানা নয়। চলতি বছরেই দু’বার রাশিয়া গিয়েছিলেন মোদী। গত জুলাইয়ে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মস্কো গিয়েছিলেন তিনি। তার পর অক্টোবরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতেও রাশিয়া যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনের ফাঁকেই পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকও সারেন মোদী। সেখানে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় দুই বিশ্বনেতার। তবে দু’বারই আলোচনায় উঠে এসেছে ইউক্রেন প্রসঙ্গ।

প্রসঙ্গত, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই আমেরিকা-সহ নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে কূটনৈতিক দুনিয়ায় একঘরে করার চেষ্টা করেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে তাদের উপর একাধিক অর্থনৈতিক অবরোধও জারি করেছে আমেরিকা। যদিও আমেরিকার বারণ সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে, গত কয়েক মাসে একাধিক বার পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে মোদী যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। আমেরিকার সঙ্গে নিবিড় কৌশলগত সম্পর্ক রাখলেও পুরনো মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়, সরাসরি এমন কোনও সিদ্ধান্তে সায় দেয়নি ভারত। সেই আবহে এ বার ভারতে আসছেন পুতিন।

আরও পড়ুন
Advertisement