ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেলেন ডোনান্ড ট্রাম্প। আমেরিকার ‘ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া’র আদালত রায় দিয়েছে, ক্যাপিটল হিলে হিংসার প্ররোচনার অভিযোগ থেকে মুক্তি পাননি তিনি। ওই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিচারপর্ব চলতে পারে বলেও জানিয়েছে আদালত। এর ফলে চলতি বছরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্প বাধার সামনে পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প পরাস্ত হয়েছিলেন তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের কাছে। কিন্তু ট্রাম্প এবং তাঁর সমর্থকেরা ভোটের ফল মানতে পারেননি। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি আমেরিকার ক্যাপিটলে ট্রাম্পের সমর্থকেরা হামলা চালান। সেখানে ট্রাম্পের যে ‘ভূমিকা’ ছিল, তা এর আগে জানিয়েছিল কলোরাডো প্রদেশের সর্বোচ্চ আদালত।
ওই রায়ের জেরে আমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যাঁকে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের ‘অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। চলতি বছরের নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আপাতত প্রদেশগুলি তৈরি হচ্ছে প্রাথমিক নির্বাচনের জন্য। দেশের বর্তমান এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দু’জনেই আরও এক বার পরবর্তী নির্বাচনী দৌড়ে প্রার্থী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই কয়েকটি প্রদেশের আদালত ঘোষণা করেছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য নন।
‘সিটিজেন্স ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স ইন ওয়াশিংটন’ নামে একটি রাজনৈতিক নজরদারি সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারেও নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে কলাম্বিয়ার আদালতের ঘোষণা, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসাবে সে দিন (ক্যাপিটল হিংসা) ট্রাম্প যে ভূমিকা নিয়েছিলেন, তাতে ফৌজদারি মামলার হাত থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া সাংবিধানিক কাঠামোয় সম্ভব নয়। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট ভোটের ফল জোর কর পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প।’’