(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা ও সোমবার তাঁর দেশ ছাড়ার আগে হেলিকপ্টারের সামনের দৃশ্য (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফার পর তড়িঘড়ি বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সাময়িক ভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশ, তাঁকে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ধরা পড়েছিল আন্দোলনকারীদের উল্লাসের ছবি। শুধু উল্লাস নয়, যে যা পেরেছেন, গণভবন থেকে তা-ই নিয়ে গিয়েছেন। তাড়াহুড়োর মধ্যে কি কিছুই সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেননি হাসিনা? সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি ইন্ডিয়া’ এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, হাসিনা দু’টি স্যুটকেস নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। এ ছাড়া আর কিছুই সঙ্গে আনতে পারেননি তিনি। ওই স্যুটকেসগুলিতে ছিল কিছু পোশাক ও জরুরি নথিপত্র।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম চর্চিত, আলোচিত ও সমালোচিত মুখ হাসিনা। মুজিবর-কন্যা হাসিনার সম্পত্তির পরিমাণ কত, সেই হিসাবনিকেশও তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। চলতি বছরের বাংলাদেশের ভোটের আগে সে দেশের নির্বাচন কমিশনকে সম্পত্তির হিসাব দিয়েছিলেন হাসিনা। ‘এনডিটিভি ইন্ডিয়া’র ওই প্রতিবেদনে প্রকাশ, নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী হাসিনার চার কোটি ৩৬ লাখ টাকার (বাংলাদেশি মুদ্রায়) সম্পত্তি রয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় হিসাব তিন কোটি ১৪ লাখ টাকা।
হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরের দিনই সে দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন ভেঙে দেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ। চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন ছিল। টানা চতুর্থ বার জয়ী হয়েছিল হাসিনার দল। বাংলাদেশের সংসদে আওয়ামী লীগ ও তার শরিক দলগুলি মিলে ৩০০ আসনের মধ্যে জিতেছিল ২২৫ আসন। তার পর এক বছরও স্থায়ী হল না হাসিনার চতুর্থ সরকার। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন— দুই দফার আন্দোলনে তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসিনা। ‘এনডিটিভি ইন্ডিয়া’য় প্রকাশ, কোনও কোনও সূত্রের দাবি তিনি বাংলাদেশ ছাড়ার পর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও সরকারি ভাবে এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।