ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলনের একটি খণ্ডচিত্র। ফাইল চিত্র।
ইরানের প্রখ্যাত কুর্দ গায়ক, র্যাপার সামান ইয়াসিনের অপরাধ ছিল যে, তিনি গোঁড়া ও অতি রক্ষণশীল ইরান প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তাঁর এই ‘রাজদ্রোহ’কে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল সে দেশের প্রশাসন। ইরানের সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আপিল করেন সামান। ইরানের একটি সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, গায়কের ওই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা করা হবে।
ইরানে তরুণ ও যুবসমাজের মধ্যে সামান খুবই জনপ্রিয়। সে দেশে হিজাব না পরার অপরাধে পুলিশি হেফাজতে মাহশা আমিনির ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হওয়ার পর যে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল, তার সামনের সারিতেই ছিলেন সামান। সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদীদের উদ্দেশে গান লিখেছিলেন তিনি। দেশের একাধিক জায়গায় গেয়েছিলেন প্রতিবাদী গান।
যদিও ইরান পুলিশের তরফে অভিযোগ করা হয়, তিনি দেশের সেনা আধিকারিকদের হত্যা করার চেষ্টা করেছেন। এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে শূন্যে গুলি ছোড়ারও অভিযোগ তোলা হয়। যদিও এ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সামান। কিছু দিন আগেই শিল্পীর মা সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তাঁর ছেলেকে বাঁচানোর জন্য গোটা বিশ্বের কাছে অনুরোধ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, সামানের আবেদন মঞ্জুর হলেও একই অপরাধে অভিযুক্ত অন্য এক জন ব্যক্তির ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। সামানের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সামানের ফাঁসি হলে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে ইরান প্রশাসন।