Bhutan General Election 2024

চিনের চেষ্টা ব্যর্থ! ভুটানের ভোটে জয়ী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগের দল, অভিনন্দন বার্তা মোদীর

নতুন দল ‘ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি’ (বিটিপি) বাকি ১৭টিতে জিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে একমাত্র বিরোধী শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পিডিপি একাই মোট ভোটের ৪২ শতাংশেরও বেশি পেয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৫৬
ভুটানের প্রাক্তন তথা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।

ভুটানের প্রাক্তন তথা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। ছবি: রয়টার্স।

রাজনৈতিক সূত্রের ‘বার্তা’ ছিল, মলদ্বীপের পর এ বার ভুটানের ভোটেও নাক গলাবে চিন। ভারতের বন্ধুদের হারানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু হিমালয় ঘেরা দেশটির জাতীয় আইনসভা ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র ভোটে ‘ভারতের বন্ধু’ বলে পরিচিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের দল পিডিপি (পিডিপি) বিপুল ভাবে জয়ী হল।

Advertisement

মঙ্গলবার ভুটানে দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত দফার সংসদীয় নির্বাচন হয়েছিল। মোট ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে শেরিংয়ের দল পিডিপি। গত বছর গঠিত হওয়া নতুন দল ‘ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি’ (বিটিপি) বাকি ১৭টিতে জিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে বিরোধী শক্তি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভুটানের সাধারণ নির্বাচন দু’টি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দু’টি দল দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেয়। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে পিডিপি ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিল। বিটিপির ঝুলিতে গিয়েছিল প্রায় ২০ শতাংশ।

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের দল ‘ড্রুক নয়ামরুপ সোগপা’ (ডিএনটি) ২০১৮-র ভোটে ৩০টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেলেও নভেম্বরের নির্বাচনে ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিল। বিদায়ী ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৭ সদস্যের বিরোধী দল ‘ড্রুক ফুয়েনসাম সোগপা’ (ডিপিটি) ১৩ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়ে হয়েছিল চতুর্থ। ফলে ডিএনটি এবং ডিটিপি চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট অংশ নিতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, পিডিপি নেতা শেরিং ২০১৩-১৮ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। তার সময় দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু যে দু’টি দেশ (নেপাল, ভূটান)-কে ভারতের ‘অ্যাডভান্সড গার্ড’ (অগ্রণী প্রহরী) বলেছিলেন, তাদের অন্যতম নেপালের সঙ্গে গত কয়েক বছরে চিনের সখ্য বাড়ায় উদ্বেগে ছিল নয়াদিল্লি।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, এই ঘটনা আগামী দিনে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তে উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর সীমান্তের আর এক দেশ ভুটানের নির্বাচনের দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত রাজা জিগমে ওয়াংচুকের দেশ স্বস্তি দিল নয়াদিল্লিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার ভোটে জয়ের জন্য অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন শেরিংকে। এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘এর ফলে ভারত-ভুটান দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী এবং সহযোগিতা আরও নিবিড় হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement