Aligarh Muslim University

কেন্দ্র আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংখ্যালঘু’ তকমা মুছতে চায়, জানানো হল সুপ্রিম কোর্টকে

কেন্দ্র জানিয়েছে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এমন প্রতিষ্ঠান কোনও নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের হতে পারে না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:১০
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।

উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে এ বার আইনি অবস্থান নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশ্ববিদ্যালয় নয় এবং হতেও পারে না।

Advertisement

এই অবস্থানের যুক্তি হিসাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান এই তকমা পায় তা কোনও নির্দিষ্ট ধর্মীয় জনগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠান হতে পারে না। কেন্দ্রের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক-স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই তাকে কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।’’

প্রসঙ্গত, মোদী সরকার প্রথম থেকেই আলিগড় এবং দিল্লি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতার মুখে পড়লেও মোদী সরকারের যুক্তি হল, এই তকমা অসাংবিধানিক। সংসদের আইনের মাধ্যমে যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, পরে তাকে ধর্মের ভিত্তিতে বিশেষ তকমা দেওয়া দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে। তা ছাড়া, সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধেক আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। কারণ সেখানে জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ থাকে না।

সলিসিটর জেনারেল মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতকে বলেন, ‘‘ভারতীয় সংবিধান রচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত গণপরিষদেও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল।’’ এ বিষয়ে ইলাহাবাদা হাই কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ১৯৮১-তে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সংশোধন করে একে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা দেওয়া হয়েছিল। ২০০৬-এ ওই আইন খারিজ করে দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।

উচ্চ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল ইউপিএ সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইউপিএ সরকারের সেই আবেদনই এ বার প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল। জানিয়েছেন, ‘সেন্ট্রাল এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন (ভর্তি সংরক্ষণ) আইন ২০০৬’ (২০১২ সালে সংশোধিত)-এর ৩ নম্বর ধারা মেনে আলিগড়ে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ বজায় রাখার কোনও প্রয়োজন নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন